অরল্যান্ডো হামলা: তদন্তকারীদের দৃষ্টি নূর সালমানের দিকে

Slider সারাবিশ্ব

18768_noor

 

 

 

 

যুক্তরাষ্ট্রের অরল্যান্ডোতে সমকামীদের নাইটক্লাবে নৃশংস হত্যাকা-ের ক্লু উদ্ধারে ব্যস্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তবে তাদের সব তৎপরতা এখন আবর্তিত হচ্ছে নিহত হামলাকারী ওমর মতিনের দ্বিতীয় স্ত্রী নূর সালমানকে ঘিরে। স্বামীর পরিকল্পনার কতটুকু তিনি জানতেন, তাকে থামানোর জন্য তিনি কি করেছেন? এসব প্রশ্ন বার বার তাদের কাছে ঘুরেফিরে আসছে। তাই কর্তৃপক্ষ এখন নূর সালমানকে প্রশ্ন করে এসব উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে নূর সালমান ওই হামলার পূর্ব মুহূর্ত সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন তা তালগোল পাকানো। দু’জন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তার মতে, তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হবে কিনা সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছে এটর্নি অফিস। নূর সালমান যা জানতেন সে বিষয়ে তিনি রিপোর্ট না করায় তার বিরুদ্ধেম অভিযোগ আনা হবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।

এতে বলা হয়েছে, এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগবে। কারণ, তদন্তকারীদের তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। ওমর মতিনের কর্মকান্ড সম্পর্কে একটি বিস্তারিত তথ্য তাদের সংগ্রহ করতে হবে। এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট রন হুপার বলেছেন, ওমর মতিন যা করেছে তা হেট ক্রাইম। এটা সন্ত্রাসও। আমি দুটি শব্দই এক্ষেত্রে ব্যবহার করবো। উল্লেখ্য, রোববার অরল্যান্ডোতে পালস নাইটক্লাবে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৪৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে ওমর মতিন। তার গুলিতে আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই ঘটনার পর এ বিষয়টি সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। ওমর মতিনের দ্বিতীয় স্ত্রী নূর সালমান। তিনি ওই হত্যাকা- নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করছেন। তদন্তকারীদের তিনি বলেছেন, ওমর মতিন জিহাদি হামলা করার বিষয়ে আগ্রহী ছিল। এটা তিনি জানতেন। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় সেই হামলা চালাবে এ বিষয়টি তিনি জানতেন না।

মতিন শনিবার বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সে কোন সহিংসতা ঘটাতে যাচ্ছে কিনা এ বিষয়ে জানতেন না নূর সালমান। কিন্তু এর পরে তিনি বলেছেন, তার সংশয় ছিল যে তার স্বামী সহিংস হামলার পরিকল্পনা করেছে। হতে পারে সেটা পালস ক্লাব। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক কর্মকর্তার মতে, নূর সালমান জানতেন যে তার স্বামী কিছু একটা সহিংস ঘটনা ঘটাতে যাচ্ছে। কারণ, এ নিয়ে মতিন কয়েক মাস ধরে কথা বলেছে। দ্বিতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্তকারীদের সালমান বলেছেন, তিনি মতিনকে কোন সন্ত্রাসী হামলা না করতে বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি এ বিষয়টি পুলিশকে জানান নি। উল্লেখ্য, ওমর মতিনের সঙ্গে নূর সালমানের বিয়ে হয়েছে ২০১১ সালে। তাদের রয়েছে ৩ বছর বয়সী একটি ছেলে। তাদের বসবাস ফোর্ট পিয়ার্সে। উইসকনসিনের সিনেটর রন জনসনের মতে, দৃশ্যত হামলার আগে ও হামলার সময় মতিন ফেসবুক ব্যবহার করেছে। এক্ষেত্রে ফেবুক চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গের কাছে তদন্তে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *