এসপির নিরাপত্তা দিতে পারল পুলিশ!

Slider জাতীয় টপ নিউজ বাধ ভাঙ্গা মত সম্পাদকীয় সারাদেশ

17196_mahmuda

 

চট্রগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তার স্ত্রী খুনের আগেই নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। তাকে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল একজন কনষ্টেবল দিয়ে। তাও আবার ফোন না করলে কনেষ্টবল আসতেন না। খুনের দিন কনষ্টেবলকে ফোন করা হয়নি বলে তিনি আসেন নি এমন সংবাদই প্রকাশিত হচ্ছে ওই কনষ্টেবলের বরাত দিয়ে। 

বাবুল আক্তার যখন চট্রগ্রামে চাকুরী করতেন তখন হয়ত তার বাসায় পুলিশ যথেষ্ট নিরাপত্তা দিয়েছে নয়তবা না। কিন্তু যখন তিনি পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় চলে গেলেন তখনই তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য একজন কনষ্টেবলকে ডেকে এনে ডিউটি করাতে হত। সারাদেশে পুুলিশের নিয়ম অনেকটা এরকমই। দীর্ঘ সাংবাদিকতার জীবনের অভিজ্ঞতা বলছে, চলে যাওয়ার পর আগের কর্মস্থলে পুলিশকে হেনস্ত হতে হয়। চেয়ার থেকে চলে গেলে ওই স্থানের ওই চেয়ারে যিনি থাকেন তিনি আগের চেয়ারে বসা লোকটি চেনেন না বলেই মনে হয়। পুলিশের আত্মঘাতি এরকম অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণেই বাবুল আক্তারের পরিবার সাধ্যমত নিরাপত্তা পান নি বলেই সাধারণ মানুষের ধারণা। একজন এসপির পরিবারকে পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় হয়ত সন্ত্রাসীরা জঘন্যতম ওই হত্যাকান্ড সংঘটিত করতে পেরেছে। তবে  এই ধরণের ঘটনা বাংলাদেশে আরো ঘটেছে কি না জানা নেই।

রোববার সকাল ৭টায় চট্রগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম ছেলেকে স্কুলে দেয়ার পথে মোটারসাইকেলে করে দুর্বত্তরা তাকে  নৃশংসভাবে খুন করে পালিয়ে যায়।  রোববার মধ্যরাতে নগরের পাঁচলাইশ থানার বাদুড়তলার বড় গ্যারেজের সামনের রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল ওই মোটরসাইকেল। পুলিশ তা উদ্ধার করে। নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান আজ সকালে জানান, হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে ডিবির একাধিক দল মাঠে রয়েছে। অভিযান চলাকালে রাস্তায় একটি মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখা যায়। সন্দেহ হলে মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। পরে ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে মাহমুদা হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির সঙ্গে জব্দ মোটরসাইকেলের মিল পাওয়া গেছে। জব্দ মোটরসাইকেলটির প্রকৃত মালিকানা যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে।

ড. এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইনচীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডকটম

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *