শ্রীপুরে খাস পুকুর জবর দখল তিন দিনের মধ্যে উচ্ছেদের নোটিশ

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ

Khas pokor 2
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
শ্রীপুর অফিস: গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার ভাংনাহাটি গ্রামে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের ৩.৫৭ একর সরকারী খাস পুকুর মধ্যভাংনাহাটি যুব সমবায় সমিতির নামে তিন বছরের লিজ নিয়ে জবর দখল করে নিচ্ছে প্রভাবশালী চক্র। তিন দিনের মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করে এলাকাবাসী জানায়, গ্রীনভিউ রিসোড এর মালিক ফকির মনিরুজ্জামানের ম্যানেজার গাজী জহিরুল ইসলাম বহিরাগত লোকদের দিয়ে পুকুর গ্রাস করতেই সবমায় কর্ম কর্তাদের সাথে যোগসাজস করে মধ্যভাংনাহাটি যুব সমবায় সমিতির নিবন্ধন করে। যার নিবন্ধন নং ৩৬৬। গ্রীনভিউ ম্যানেজার গাজী জহিরুল ইসলাম ওই সমিতির সভাপতি এবং তার কর্মরত কর্মচারীরা ওই সমিতির সদস্য হয়ে ২০ সদস্যের সমিতি গঠন করে ৪৩নং শ্রীপুর মৌজার ভাংনাহাটি গ্রামাস্থ এস.এ ১৭৫৪, ১৭৫৫ এবং আর.এস ৭৬১০ দাগের ৩.৫৭ একর আয়তনের খাস পুকুর ৪০ হাজার টাকায় বাংলা ১৪২০ সন থেকে ৩ বছরের জন্য লীজ গ্রহন করে। লীজ গ্রহিতা গাজী জহিরুল ইসলাম স্থানীয় একটি প্রভাশালী চক্রের ছত্র ছায়ায় সরকারী খাস পুকুর ইজারা নীতিমালা ভঙ্গ করে পুকুর জবর দখল প্রক্রিয়া শুরু করে। পুকুর পাড়ে থাকা প্রায় ১৪টি ভূমিহীন পরিবারকে বিভিন্ন কায়দায় উচ্ছেদ করে পুকুরের চার দিকে পাকা ভীম, লোহার পাইপের খুটি দিয়ে গ্রীলের মাধ্যমে সীমানা বেষ্টনি দিয়ে জবর দখলে করে নেয়। প্রায় শতাধিক শ্রমিক দিয়ে পুকুর পাড়ের মাটি কেটে পূর্বে বসবাসরত ভূমিহীনদের বসত বাড়ীর আলামত নিশ্চিহ্ন করতে রাত-দিন কাজ চলছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসনের যোগসাজসে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ প্রভাশালীরা জবর দখলে করে নিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা রহস্যজনক নিরব। এব্যাপারে ওই সমিতির সভাপতি গাজী জহিরুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেল তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার কর্মচারী কাওসার জানায়, বৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিতেই পুকুরের চার পার্শ্বে সিমানা বেষ্টনি নির্মিত হচ্ছে।

সরকারী খাস পুকুর জবর দখলের বিষয়ে শ্রীপুর পৌর ভূমি কর্মকর্তা আ: হামিদ জানান, খাস পুকুর জবর দখল বন্ধের জন্য তিনি নোটিশ প্রদান করেছেন। সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুল ইসলাম ভূইয়া জানান, সমিতির নামে লীজ নিয়ে খাসপুকুরের চার পার্শ্বে স্থায়ী স্থাপনা নির্মানের কোন বিধান নেই। তিনি অবিলম্বে জবর দখলে বন্ধের ব্যবস্থা নিবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি তার জানা ছিলনা, তিনি ইতি মধ্যে সহকারী কমিশনার ভূমিকে যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে তিন দিনের মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়র পর জবর দখল কারীদের স্থাপনা উচেছদ করে সরকারী খাস পুকুর উদ্ধার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *