বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, একটা দলের চেয়ারপারসন হয়েও খালেদা জিয়া সিম নিবন্ধ না করায় আমরা একটু কষ্ট পেয়েছি, একটু হতাশ হয়েছি। রোববার সচিবালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে মোবাইল অপারেটর ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক সভায় প্রতিমন্ত্রী এ হতাশা ব্যক্ত করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার নিজ নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কোনো সিম নিবন্ধন করা নেই। হয়তো তিনি অন্যের মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। এখনও আশা করছি তিনি তার সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করে নেবেন। সেক্ষেত্রে যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে সিমটি তাকে কিনে নিতে হবে। কারণ নিয়ম সবার জন্যই সমান প্রযোজ্য। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মোবাইল ফোন অপারেটররা ১ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে সিম পুনঃনিবন্ধনের যে সুযোগ দিয়েছিল তার মধ্যে তিনি সিম নিবন্ধন করলে উনি বিনা পয়সার এটি করতে পারতেন। তিনি সেই সুযোগটিও গ্রহণ করেননি। তারানা হালিম বলেন, বাংলাদেশের ১১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে লাইনে দাঁড়িয়ে দিনের পর দিন কষ্ট করে তাদের সিম-রিম নিবন্ধন করেছেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, সকল মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, সকল সচিব, সেনাবাহিনীর সদস্যরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধন করেছেন। আমরা আশা করেছিলাম, একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তার সিম নিবন্ধন করে একজন সচেতন নাগরিকের ভূমিকা পালন করবেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর শুরু হয়ে দেশে বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের ছাপ) পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয় ৩১ মে। সরকারের এ উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে বিএনপি।