পঞ্চগড়ের একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী

Slider জাতীয়

2016_06_02_08_09_43_e1WTapxbRzfDTX4rsLGzPF3VdA2K3v_original

 

 

 

 

পঞ্চগড় : সদ্য শেষ হওয়া ৫ম ধাপের নির্বাচনে ৪ ইউনিয়নে কোনো নারী প্রার্থী ছিল না। তবে ষষ্ঠ দফায় দেবীগঞ্জ উপজেলার ৬ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য একজন নারী প্রার্থীর খোঁজ মিলেছে। এই প্রার্থীর নাম মনোয়ারাজ্জামান দুলাল।

সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামান দুলালের সহধর্মিনী তিনি। সকল বাধা পেরিয়ে এই নারী প্রার্থী উঠে এসেছেন সালডাঙ্গা ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। নির্বাচনে বাড়ি বাড়ি, হাট-বাজার, মাঠ-ঘাটে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এই নারীপ্রার্থী।

আগামী ৪ জুন ষষ্ঠ দফায় পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চলছে শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। তাই জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী এখন সালডাঙ্গা ইউনিয়নের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত নির্বাচনী সংযোগ ও উঠোন বৈঠক করে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এই নারীপ্রার্থী। শুধু মোটরসাইকেলে নয়, পায়ে হেঁটে হেঁটে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন এই নারীপ্রার্থী। ভোট এবং দোয়া চেয়ে ফিরছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। তবে জেলার একমাত্র এই নারী অন্য প্রার্থীদের অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

দেবীগঞ্জের সালডাঙ্গা ইউনিয়নে মনোয়ারাজ্জামান দুলাল ছাড়া আরও ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে।

ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আসাদুজ্জামান মাসুম, বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে ফরিদুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মদন মোহন রায়। তবে নারী প্রার্থী হিসেবে প্রথম তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান মনোয়ারা। নির্বাচনে জয়লাভ করলে গরিব মেহনতি ও নির্যাতিত মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

মনোয়ারাজ্জামানের ছেলে মো. মুজাহিদুল ইসলাম জাবির জানান, আমার বাবা দীর্ঘদিন এই ইউনিয়নের মানুষের সেবা করেছে। তার মৃত্যুর পর এখন আমার মা সেই দায়িত্ব হাতে নিয়েছে। অন্যান্য প্রার্থীরা নারী বলে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আশা কারি আমরা সফল হব।

মনোয়াজ্জামান দুলাল জানান, সালডাঙ্গা ইউনিয়নের  মানুষ আমাকে অনেক ভালবাসে। আমি বিশ্বাস করি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সকলের ভালবাসায় আমি নির্বাচিত হব।

ষষ্ঠ দফায় দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন প্রার্থী, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬২ এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৮৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৬ ইউনিয়নে মোট ভোটার ৮৪ হাজার ৪১৪ জন।

উল্লেখ্য, এটিএম শামসুজ্জামান দুলাল ১৯৯৬ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সালাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার সহধর্মিনী মনোয়ারাজ্জামান দুলাল চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *