মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, গত ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারেক রহমান দাবি করেন, ‘একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আসার ঠিক আগে ইয়াহিয়া খানকে প্রেসিডেন্ট মেনে তার সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি রাজাকার, খুনি ও পাকবন্ধু।’ যা পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য প্রদান, কুৎসা প্রচার ও প্রকাশের কারণে দেশের সম্মানের ক্ষতি ও ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক যে স্বাধীন দেশের অভ্যুদয় হয়েছিল সেই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে বাদীর সম্মানহানি হয়েছে।
দণ্ডবিধির ৫০০/৫০১/৫০২ ধারায় দিনাজপুরের প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১ এ ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর ছাত্রলীগ নেতা পরাগ মামলাটি করেন। ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর সমন জারির আদেশ দেন একই আদালত।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামসুর রহমান (পারভেজ) বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আদালতের বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেছেন।