বাচ্চা ঘুমাচ্ছে না? কাঁদলেই ভালো ঘুম হবে

Slider লাইফস্টাইল

Monokotha_BG20160528010603

 

 

 

 

 

ঢাকা: অনেক সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু রাতে ঘুমাতে চায় না। কোলে নিয়ে দুলিয়ে দুলিয়ে, দুধ গরম করে ফিডারে ধরে- কোনোভাবেই কাজ হয় না। চিন্তা নেই।

 
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন না হয়ে শিশুকে কাঁদতে দিন। এতে শিশুর ‘ইমোশনাল ড্যামেজ’ হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই। বরং শিশুর ঘুম তুলনামূলক ভালো হয়।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গবেষক দল ৪৩ দম্পতির সন্তান যাদের ঘুমের সমস্যার রয়েছে, এমন ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেন তারা।

গবেষকরা অভিভাবকদের তিন ভাগে ভাগ করেন। প্রথম দলকে ‘স্লিপিং টেকনিক’ কৌশল শেখানো হয়, আরেক দল ‘বেড টাইম ফিডিং’ কৌশল শেখানো হয়। শেষ দলকে শেখানো হয় নতুন নতুন কৌশল।

তিন মাস পর্যবেক্ষণে দেখা ‍যায়, কান্নার পরে শিশুরা সব কৌশলের চেয়ে ১৫ মিনিট আগে ঘুমিয়ে যায়।

ঘুম ঘুম ভাব হলে শিশুদের খাওয়াতে গেলে তারা কমপক্ষে ১২ মিনিট আগে ঘুমিয়ে যায়। পুরো গবেষণা সময় শিশুদের ঘুমানোর সময় লিখে রাখা হয়।

টেম্পল ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মার্স উইনরাব বলেন, শিশুরা সময় মতো ঘুমিয়ে পড়লে অভিভাবকদের জন্যও ভালো। এই গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কন্নার পরে শিশুরা ঘুমিয়ে পড়লে যেমন শিশু এবং তার অভিভাবকদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

অনেক অভিভাবক জানিয়েছেন কান্নার সময় শিশুদের স্ট্রেস লেভেল বেড়ে যায়। ফলে তাদের আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়।

‘তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এতে শিশুর কোনো ক্ষতি হয় না। অন্যান্য কৌশলেও শিশুকে জোড় করে ঘুমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হলে তাদের স্ট্রেস লেভেল বেড়ে যায়,’ যোগ করেন উইনরাব।

স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণের মাত্রাও গবেষণায় পরিমাপ করা হয়।

প্রধান গবেষক মাইকেল গ্রেডিসার বলেন, শিশু এবং অভিভাবকদের নিয়মতান্ত্রিক ঘুম তাদের সুসম্পর্ক স্থায়ী করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *