একি অপরুপ রুপে মা তোমায় হেরিনো পল্লী জননী

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ ঢাকা বাংলার মুখোমুখি বাংলার সুখবর সারাদেশ

gazipur photo------

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস: একি অপরুপ রুপে মা তোমায় হেরিনো পল্লী জননী। গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ আ-মা-র মন ভোলায় রে—-।

নিঁখোত প্রকৃতির মাঝে ক্ষনিকের জন্য হারিয়ে যাওয়া কিছু সমাজকর্মীর কণ্ঠে গাওয়া ওই গানে মাতিয়ে ছিলো ঐতিহাসিক বেলাই বিলের নীরব স্বাক্ষীদের। গানের তালে তালে বেলাই বিলে মাছ ধরা নৌকার জেলেরা ও অন্যান্য জলযানের যাত্রীরা সূরের মূর্ছনায় তৈরী করেছিলো এক ভিন্ন আমেজের আবহ।

প্রকৃতির লীলাভূমি আমাদের বাংলাদেশের মানচিত্রে একটি জেলার নাম গাজীপুর। মহানমুক্তিযুদ্ধে গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকার পাশাপাশি নয়নাভিরাম সবুজ প্রকৃতির নৌ-বন্দর হিসেবেও সুখ্যাতি ছিলো গাজীপুর জেলার। কালের বিবর্তনে এখন সবি হারিয়ে যেতে বসেছে। হারানো ঐতিহে্যৃর স্মৃতিচারণ করতে ও ইতিহাস পুনরুদ্ধারের দাবি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ভিন্নধর্মী এই অনুষ্ঠান।
gazipur photo-00

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গাজীপুরের ইতিহাস ঐতিহ্যৃ নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠন “চেতনা গাজীপুর” আয়োজন করে ব্যাতিক্রমধর্মী গণসচেতনামূলক অনুষ্ঠান নৌ-বহর। নৌ-বহরে শতাধিক নারী-পুরুষ কর্মীরা গানের তালে তালে মাতিয়ে তোলেন হারানো ঐতিহ্যের ভ্যানু বেলাই বিলকে।

ঐতিহাসিক বেলাই বিলে ভসমান মঞ্চ করে এই সংগঠন গাজীপুরের প্রচীন ইতিহাস ঐতিহ্য ফিরে পাওয়ার দাবি করেন। তারা সংস্কার চান প্রচীন নৌ-পথ বেলাই বিলের। নেতারা আস্তাকুঁড়ে হারিয়ে যাওয়া তিতারকুল, কানাইয়া ও পূবাইল নৌ-ঘাটির ইতিহাস উদ্ধার করে গাজীপুরের প্রচীন ইতিহাস পুনরুজ্জীবিত করার অঙ্গীর করেন।

বেলাই বিলের ভাসমান মঞ্চে চেতনা গাজীপুরের সভাপতি সাংবাদিক এ কে এম রিপন আনসারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন রণির সঞ্চালনায় অনুিষ্ঠত সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হাছিবুর রহমান, কবি সাহান শাহাবুদ্দিন, এড. বিউটি আক্তার, শিক্ষানবীশ আইনজীবী মিজানুর রহমান, এড. জান্নাতুল ফেরদৌস মৌসুমী, সাংবাদিক জাহিদুর রহমান বকুল, অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ রায়হান মিয়া, সদস্য সচিব ডাঃ বোরহান উদ্দিন অরণ্য, রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্ত খামারী মীর আলিমুজ্জামান ও সাংবাদিক মোঃ জাকারিয়া প্রমূখ।
gazipur photo----

অনুষ্ঠান শেষে সামাজিক আন্দোলনের কর্মীরা তিতারকূল ঘাটে ফিরে নিজ নিজ বাসায় চলে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *