সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর মেয়ের বিয়েতে ১৫০০০ অতিথি

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ

39772_b4
গ্রাম বাংলা ডেস্ক: সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর মেয়ের বিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার)। গত ক’দিন ধরে চলছে আয়োজন। বিয়ের একদিন আগে (৩রা সেপ্টেম্বর)  দাওয়াত করে মন্ত্রী গতকাল মৌলভীবাজারের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন সার্কিট হাউসের কনফারেন্স রুমে। বললেন মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা চান। এই সময় নিজেই জানালেন দেশ-বিদেশের অতিথি থাকবেন। মূলত লোক সমাগমের কথা চিন্তা করেই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অন্য কোথাও করলে যানজট সৃষ্টি হতো। আরও জানালেন, যথাযথ নিয়মে আবেদন করে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়েছে।
এ উপলক্ষে মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামকে অনুষ্ঠান উপযোগী করে সাজানো হয়েছে। স্টেডিয়ামের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি প্যান্ডেল। পশ্চিম সীমানা প্রাচীরের ২০-২২ ফুট অংশ এবং লাগোয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউসের সীমানা প্রাচীরের কিছু অংশ ভেঙে অতিথিদের গাড়ি যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর দ্বিতীয় কন্যা সৈয়দা সানজিদা শারমিনের বিয়ে। বর লক্ষ্মীপুরের শ্রীরামপুর গ্রামের ইব্রাহিম পাটওয়ারীর ছেলে মোশাররফ পাটওয়ারী। সপ্তাহখানেক ধরে মন্ত্রীর পারিবারিক ও দলের লোকজন চিঠি এবং মৌখিকভাবে অতিথিদের দাওয়াত দিচ্ছেন। ১৫ হাজার দাওয়াত পত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
মৌলভীবাজার এম. সাইফুর রহমান স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গেছে, লোকজনকে খাওয়ানের জন্য পাঁচটি প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। একটিতে বর ও বরযাত্রী, একটিতে কনে ও মহিলারা, একটি জেলার সাত উপজেলার অতিথি আর একটি করা হয়েছে হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকজন আপ্যায়নের এবং একটি অন্যান্য অতিথির জন্য।
সাজসজ্জায় নিয়োজিত ‘ডেকোরেটার্স’-এর সিরাজ মিয়া জানান, মন্ত্রীর পারিবারিক সকল অনুষ্ঠানে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করে থাকেন তিনি। এবারও করছেন। গত সপ্তাহ থেকে প্যান্ডেল তৈরি ও অন্যান্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, মাঠের উত্তর দিকে প্রবেশপথে চলাচলের জন্য কর্দমাক্ত স্থানে বালি ফেলা হয়েছে। প্যান্ডেলের পাশ ঘিরে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠের একদিকে রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রান্নার জন্য প্রায় এক হাজার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে আসা হয়েছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান গতকাল (৩রা সেপ্টেম্বর) মানবজমিনকে জানান, বিধিসম্মতভাবে স্টেডিয়াম ব্যবহারের আবেদন করা হয়েছে। আমরাও বিধিসম্মতভাবে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। সীমানা প্রাচীর ভাঙার ব্যাপারে তিনি কোন কথা বলতে চাননি। এ ব্যাপারে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংবাদিকদের জানানো হয় এই ভাঙা অংশ মেরামত করে দেয়া হবে পরিবারের পক্ষ থেকে।
মন্ত্রীর ছোটভাই সৈয়দ সালমান আলী বলেন, পনেরো থেকে আঠারো হাজার মানুষকে খাওয়ানোর প্রস্তুতি আছে। মুসলিম অতিথিদের জন্য সাদা পোলাও, রোস্ট ও গরুর রেজালা থাকবে। হিন্দু সমপ্রদায়ের জন্য খাসি ও মাছের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী গরু ও খাসি জবাই করা হবে। সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ২৫টি গরু ও ৮০ খাসি জবাই করা হতে পারে। আর অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা নিয়ম মেনেই করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *