নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

Slider জাতীয়

13144_up

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় গত শনিবারের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ মুন্তাজ আলী (৪৫) মারা গেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মুন্তাজের বাড়ি আউচপাড়া ইউনিয়নের সারন্দি গ্রামে। তাঁকে নিয়ে গত শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো। অন্য তিনজন হলেন সারন্দি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান (৩০), রমজান আলী (৪৫) ও কোন্দা গ্রামের জাহিদ হাসান (৩৪)। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে।

শনিবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার জান মোহাম্মদ ও বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলামের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যান। এর মধ্যে সিদ্দিকুর রহমান গুলিতে নিহত হন। রমজান আলীর মৃত্যু নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যায়। সংঘর্ষে পুলিশসহ দুই পক্ষের আহত ১৮ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত মুন্তাজ আজ মারা গেলেন।

মুন্তাজের স্বজনের ভাষ্য, শনিবার হাটগাঙ্গোপাড়ায় পুলিশের গুলিতে অন্যদের সঙ্গে মুন্তাজও গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। আজ ভোররাতে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর তাঁর লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসউদ আলী জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

বাগমারার ১৬টি ইউনিয়নে শনিবার ইউপি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে সেই ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয়। তারপরও বাতিল হওয়া এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আউচপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জান মোহাম্মদ সরদার এবং বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান শহিদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জের ধরে শনিবার সংঘর্ষ হয়। গুলিতে আওয়ামী লীগের কর্মী সিদ্দিকুর নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে গত রোববার ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *