নির্ধারিত সময়ে জনগণকে সেবা দিতে হবে

Slider জাতীয়

 

33_208905

 

 

 

 

 

 

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণকে সরকারি সেবা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দুটি আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে দুর্নীতি দমন কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে মনে করছে দুদক। আদেশ দুটিতে সচিব ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি সরকারি অফিসে সব পর্যায়ের চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার ও সেবার পদ্ধতি সহজ করার অনুরোধও করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনে ওই আদেশ দুটি জারি করা হয়। আদেশের কপি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পাঠানো হয়।

দুদকের নতুন চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জনগণকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারি সেবা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের কাছে একটি আধা সরকারি (ডিও লেটার) চিঠি পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আদেশ দুটি দেন। এসব সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও মাঠ প্রশাসনের কর্তারা যে কোনো নিয়ম প্রচলন করতে বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল সমকালকে বলেন, ‘কোনো কাজের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ও সময়সীমা না থাকলে এবং বিষয়টি ব্যক্তির স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতার মধ্যে থাকলে দুর্নীতির সুযোগ হয়। সরকার জনগণের সেবা প্রদানের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিলে সেবাপ্রত্যাশীরা জানতে পারবেন, তাদের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে নাকি প্রত্যাখ্যান হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এতে তারা ঘোরাঘুরি ও হয়রানির ঝামেলা থেকে রক্ষা পাবেন। সরকারি প্রশাসনে দুর্নীতির সুযোগও কমে আসবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে কমিশন ওই চিঠি পাঠিয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারি সমকালকে বলেন, ‘স্বচ্ছ, জনমুখী, কল্যাণকর সরকারি কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারি সেবা প্রদানে সময়সীমা নির্ধারণে দুদকের সুপারিশটিও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একই সঙ্গে সচিবালয় নির্দেশনা-২০১৪-এর সঙ্গেও মিল রয়েছে। তাই দুদকের চিঠির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে দুটি আদেশ জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসন পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে দুদকের চিঠির উদৃব্দতি দিয়ে বলা হয়, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি অফিসের চলমান কর্মপদ্ধতি, ব্যবস্থাদি পর্যালোচনার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনে বিদ্যমান কর্মপদ্ধতির সংস্কার করতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *