মামলা নিস্পত্তির আগেই বিচারপতি অভিশংসন আইন। কোন সংকেত!

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা বাধ ভাঙ্গা মত সম্পাদকীয় সারাদেশ

11413_montri

 

 

বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণের অসদাচারণ বা অসামর্থ্য (তদন্ত ও প্রমাণ) আইন, ২০১৬ এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের দায়বদ্ধতা থেকে এ আইন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তার তদন্ত হবে এ আইনের মাধ্যমে। তদন্তে কোনো বিচারকের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য প্রমাণিত হলে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করলে খসড়া আইনে দুই বছরের জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে বলেও জানান সচিব। বিচারপতিদের যেন কোনো অসম্মান না হয়- সেই সুরক্ষা আইনে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণ-সংক্রান্ত আইনের খসড়া নীতিগত বা চূড়ান্ত অনুমোদন হল আজ। প্রস্তাবিত আইনটির নাম-‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য (তদন্ত ও প্রমাণ) আইন, ২০১৬। এর আগে ২০ এপ্রিল এ আইনের খসড়ার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া হলেও সর্বোচ্চ আদালত এ ব্যাপারে কোনো মতামত দেয়নি। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে মতামত দেয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে সরকারকে জানানো হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬ (৩)-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট বিভাগে দাখিলকৃত ৯৯৮৯/২০১৪ নং রিট মামলা আগামী ৫ই মে রায় প্রদানের জন্য ধার্য আছে বিধায় বিচারাধীন বিষয় এবং খসড়া বিলের ওপর মতামত প্রদান বিচার বিভাগের স্বাভাবিক কাজে হস্তক্ষেপের শামিল।

এ ছাড়াও ২০০৭ সালে মাজদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ হয়।

এমতাবস্থায়, সংসদের হাতে বিচারপতি অভিশংসন ক্ষমতা কার্যকর হলে সংবিধানের দুটি অর্গানের মধ্যে কোন সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরী হয় কি না তাও ভেবে দেখা দরকার। আজকের সভায় “বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য (তদন্ত ও প্রমাণ) আইন, ২০১৬” অনুমোদন না করে ৫ মের পর অনুমোদন করলে মনে হয় ভাল হত। তাহলে আর জনমনে কোন প্রশ্নের জন্ম হত না। একটি রীট মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় একই বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদে আইন পাশ সংবিধানকে কতটুকু সুরক্ষা করবে তাই এখন ভেবে দেখার বিষয়। এ ছাড়া তাড়াহুড়ো করে এই আইন এখন না করে ৫ মে মামলার রায়ের পর করলে মনে হয় ভাল হত।

ড. এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইন চীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *