আওয়ামীলীগের আভ্যন্তরীন কোন্দলে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই বাঁধছে। নৌকার সাথে একই দলের বিদ্রোহীরা এখন মুখোমুখি। বিভিন্নস্থানে সংঘর্ষ, হামলা ও খুন হচ্ছে। পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে চলছে বলে জানালেও মুলত চলছে মন্ত্রী বা এমপিদের নির্দেশে। এতে আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থীর ভয়াবহতা দেখে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা ঘরে বসেই চালাচ্ছেন প্রচারণা।
গনমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, পুলিশ নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করছে। কোথাও কোথাও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষেও গোপনে গোপনে কাজ করছে। আওয়ামীলীগের যে প্রার্থীর সমর্থনদাতা যত বেশী ক্ষমতাসীন তার পক্ষেই যাচ্ছে পুলিশ। তবে সরকারী দলে একাধিক প্রার্থী থাকায় পুলিশ সময়ে সময়ে অবস্থান পরিবর্তন করে নিজেদের স্বার্থটাও হাসিল করতে ভুল করছে না।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফার ইউপি নির্বাচনে স্বহিংসতা কম হওয়ার আশংকা থাকলেও লক্ষন শুভ মনে হচ্ছে না। গেলো দু্ই দফার মতই নৌকা প্র্রতীকের প্রার্থীরা জোর জুুলম করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত আছেন।
তৃতীয় দফা নির্বাচন কেমন হবে এ প্রসঙ্গে সরকারের একটি দায়িত্বশীল গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র বলছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা পূর্বের মত প্রস্তুতি নিলে ভুল করবেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শাস্তিপূর্ন করতে উচ্চ পর্যায়ের কঠিন নির্দেশনা আছে।
জাতির প্রত্যাশা, গত দুই পর্বে প্রায় অর্ধশত নীরিহ মানুষ খুন হওয়ায় আওয়ামীলীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দল, দেশী বিদেশী সংস্থা কঠোর সমালোচনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেছে। তাই নানা কারণে তৃতীয় দফা ইউপি নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে সরকারের ভবিষৎ ভাল মন্দ। তাই সরকার নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করতেই হয়তবা একটি সাধ্যমত সুষ্ঠৃু নির্বাচন দিবেন। যে নির্বাচনে রক্তপাত ও কমে আসবে।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম