অবরোধে অনড় খুলনার পাটকল শ্রমিকরা

Slider জাতীয়

 

 

th

 

 

 

 

 

 

খুলনা: বকেয়া পরিশোধের জন্য হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণার পরও খুলনায় রাষ্ট্রায়াত্ত সাতটি পাটকলের শ্রমিকরা অবরোধে অনড় রয়েছেন।
দ্বিতীয় দফা অবরোধের তৃতীয় দিন বুধবার (১৩ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করেছেন শ্রমিকরা। একই সঙ্গে শ্রমিক ধর্মঘটের ৯ম দিনের মতো বন্ধ রয়েছে পাটকলের উৎপাদন।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত জুটমিল সিবিএ-ননসিবিএ ঐক্য পরিষদের আহবানে এসব কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা।

এর আগে সোমবার (১১ এপ্রিল)  শ্রমিকদের অবরোধ চলার মধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনকে (বিজেএমসি) এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের নির্দেশ দেন অর্থ মন্ত্রণালয়কে।

আন্দোলনে থাকা খুলনাঞ্চলের ৭টি পাটকলের শ্রমিক নেতাদের  মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয় পাট মন্ত্রণালয় থেকে। কিন্তু বৈঠকের সময় খুলনাঞ্চলের নেতারা আন্দোলনের বাইরে থাকা মিলের নন সিবিএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে আপত্তি জানিয়ে সম্মেলন কক্ষের বাইরে অবস্থান নেন।

যার কারণে আন্দোলনরত মিলের নেতাদের সঙ্গে পাট প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। পাট মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরবর্তী সময় নির্ধারণ করা হয়।

মঙ্গলবারের বৈঠক শেষে পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়েছি। সবাইকে বুধবারের মধ্যে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। কর্মসূচি প্রত্যাহার না করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রীর এ বক্তব্যকে আমলে না নিয়ে খুলনাঞ্চলের শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। মহানগরীর খালিশপুর নতুন রাস্তা মোড়, আটরা গিলাতলা ও যশোর অভয়নগরের রাজঘাট শিল্প এলাকার জুট মিলের শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে অবরোধ করছেন। শ্রমিকদের অবরোধের ফলে খুলনা-যশোর এবং ঢাকার সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আটরা গিলাতলায় আলীম জুট মিলের সামনে অবরোধ পালনরত শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম বুধবার সকালে  বলেন, ঐক্য পরিষদের আমাদের সিনিয়র নেতারা ঢাকায় রয়েছেন। তাদের নির্দেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। ক্রমান্বয়ে আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে।

আলীম জুট মিলের সামনের অবরোধ চলাকালীন সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন স্টার জুট মিলের সিবিএ সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবীর খান।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত জুটমিল সিবিএ-ননসিবিএ ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, আমরা নির্বাচিত শ্রমিক ইউনিয়নের (সিবিএ) নেতা। মঙ্গলবার মন্ত্রী যাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন তারা নন সিবিএ ও আন্দোলন না করা মিলের শ্রমিক নেতা। তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করতে রাজি না হওয়ায় বুধবার আড়াইটায় আমাদের সঙ্গে পাট মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সময় নির্ধারন করা হয়েছে।

সেখানে ফলপ্রসু আলোচনা এবং দাবি আদায় হলেই কর্মসূচির ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকের সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত যথারীতি সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ চলবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *