কুমিল্লায় যাচ্ছেন সিআইডির ডিআইজি

Slider জাতীয়

 

2016_03_29_15_45_49_TGCCk6ozGBRjKyaZ0JD2mfumcEaszA_original

 

 

 

 

 

কুমিল্লা: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে আজ (রোববার) কুমিল্লায় আসছেন সিআইডির ডিআইজি (ক্রাইম-ইস্ট) মাহবুব মোহসিনসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

সিআইডির ডিআইজি (ক্রাইম-ইস্ট) মাহবুব মোহসিনসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে এ মামলার বিষয়ে বৈঠক, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তনুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে তনু হত্যা মামলার তদন্তে দিন রাত কাজ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।  ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কাজ করে তদন্ত সহায়ক দলটি। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক সেনা সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে।

সিআইডি কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, তনু হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে দ্বিতীয় ধাপে তৃতীয় বারের মতো ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মনিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় এক সেনা সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। রাত বারোটা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময়ে আরো ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লা ও নোয়াখালী বিভাগের সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান, সিআইডি ঢাকার সিনিয়র এএসপি এহসান উদ্দিন, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ আরো একাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত দলের প্রধান সিআইডি ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তদন্ত করছি। তদন্তের প্রয়োজনে যেখানে যাকে প্রয়োজন তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আশা করছি খুব দ্রুত রহস্য উদঘাটিত হবে।’

সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আমরা সামরিক-বেসামরিকসহ বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছি। তনু হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে ও জড়িতদের শনাক্ত করণে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার একটি জঙ্গল থেকে তনুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাকে হত্যা করে মৃতদেহ ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পরদিন তনুর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

৩১ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তারাই তদন্ত করছে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান করলেও তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে দাবি করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু না বলায় প্রতিবেদন নিয়েও সমালোচনা হয়েছে।

অবশ্য ৩০ মার্চ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ তুলে নমুনা নেয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা সেই প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষায় আছেন।

এ ঘটনা তদন্তে র‌্যাব ও পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে সারাদেশে চলছে বিক্ষোভ। তবে হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন পরে সেনা সদর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারাও তনুর ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *