গ্রাম বাংলা ডেস্ক: রমজান মাসে রোজা রাখা আল্লাহর নির্দেশ। ওই সময় অনেকেই রোজা রাখেন। সেটা আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য। তবে অনেক মুসলমান আবার রমজান মাস ছাড়াও রোজা রাখেন। যাকে নফল রোজা বলা হয়। রোজা রাখার মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তোষ অর্জন। প্রত্যেক ধর্মেই রোজার বিধান রয়েছে। হিন্দু ধর্মে রোজাকে বলা হয় উপবাস বা উপোস।
যা-ই হোক রোজার ধর্মীয় দিক ছাড়াও রয়েছে শারীরিক বেশ কিছু উপকারিতা। সেজন্য মাঝে মধ্যে রোজা রাখার চেষ্টা করা সবারই উচিত। রোজার কয়েকটি শারীরিক উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ওজন কমানোর অন্যতম নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলো রোজা রাখা বা উপোস করা। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা উপোস করলে অনেক বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়। এনার্জির জন্য শরীর ফ্যাট সেলগুলোকে ভেঙে দেয়। নিয়মিত ডায়েটিং করার চেয়ে ক্যালোরি ক্ষয়ের জন্য মাঝেমধ্যে রোজা রাখা অনেক বেশি কার্যকরী।
ইনসুলিনের ক্ষমতা বাড়ায়
রোজা তথা নির্দিষ্ট সময়সীমার উপোস শরীরে ইনসুলিনের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ে। পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, রোজা রাখলে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়ে ও শরীরের কোষগুলি রক্ত থেকে অনেক বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ সংগ্রহ করতে পারে।
হজম ক্ষমতা বাড়ে
রোজায় আমাদের পাচনতন্ত্র বিশ্রাম পায়। ফলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে শরীরে মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি পায়। কারোর হজম ক্ষমতা দুর্বল হলে মেটাবলিজমের হারও কমবে। ফলে শরীরে ক্যালোরি ক্ষয় কম হবে। রোজা হজম ক্ষমতাকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে।
যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে
রোজায় হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ইফতারের পর আমরা যা খাই, তা থেকে পুষ্টি সহজেই শরীরে শোষিত হয়। শরীর ঠিকমতো পুষ্টি পাওয়ায় বার্ধক্যের ছাপ দেরিতে পড়ে।
ক্ষুধা বৃদ্ধি করে
রোজা রাখলে ক্ষুধার অনুভূতি শক্তিও বাড়ে। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় হরমোন সঠিকভাবে ক্ষরণ হয়।
মস্তিষ্কের কাজ ভালো করে
রোজা বা উপোসের ফলে মস্তিষ্কের ক্রিয়া আরও উন্নত হয়। রোজার সময় নিউরোট্রফিক নামে বিশেষ প্রোটিন অধিক উৎপন্ন হয়। এই প্রোটিন মস্তিষ্ককে আরো সজাগ করে তোলে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
রোজায় শরীর থেকে বেশি মাত্রায় টক্সিন বেরিয়ে যায়। ফলে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল কম উৎপন্ন হয়। ফ্রি র্যাডিক্যাল কমে যাওয়ায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এমনকি শরীরে ক্যানসার বাসা বাঁধার আশঙ্কাও কমে।
মনোসংযোগে সাহায্য করে
রোজা তথা উপোসের পর শরীর ও মন বেশি একাগ্র হয়ে ওঠে। এই কারণেই সম্ভবত হিন্দু ধর্মে পুজোর আগে উপোস থাকা রীতি রয়েছে। যাতে ঈশ্বরের পুজার্চনায় অধিক মনোযোগ দেয়া যায়।
ত্বক পরিস্কার করে
রোজায় শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেশি পরিমাণে বেরিয়ে যাওয়ায় ত্বক পরিষ্কার হয়। লিভার, কিডনির কাজ আরো ভালো হওয়ায় ত্বকে দাগ, ব্রন নির্মূল হয়।
ইন্টারনেট অবলম্বনে