কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড যশোর। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা এই কালবৈশাখী ঝড়ে ৩ জন নিহত ও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। নিহতরা হচ্ছে যশোরের অভয়নগরের দুলগ্রামের ভুষণ মন্ডলের মেয়ে লক্ষ্মীরাণী মন্ডল (৩৮) ও একতারপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন খানের মেয়ে সাহিদা বেগম(৫৫) ও সদর উপজেলার উপশহর তেতুলতলা এলাকার জামেলা বেগম (৬৫)। আহতদের কয়েকজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাছপালার ক্ষতি হয়েছে মারাতœক আকারে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে জেলার অধিকাংশ এলাকা। বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারনে জেলার ৮টি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা ব্যহত হয়েছে। বিদ্যুৎ সংকটের কারনে বিঘিœত হচ্ছে পানি সরবরাহ। গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। রাত থেকে যশোরের সাথে বিভিন্ন জেলা ও থানা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে আটকা পড়ে দুরপাল্লার যানবাহন। তবে আজ বুধবার বেলা ১২টার পর থেকে বিভিন্ন এলাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শুরু হওয়া এই কালবৈশাখী চলে প্রায় সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত। কালবৈশাখীর তান্ডবে মুহুর্তে লন্ডভন্ড হয়ে যায় গোটা এলাকা। মাইলের পর মাইল বৈদ্যুকি তার ও খুটি ছিড়ে যাওয়ায় বিপর্যয় ঘটে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায়। কালবৈশাখীর প্রভাবে ধান, কলাবাগান, আম বাগান, লিচু বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে উপড়ে গেছে রাস্তার পাশের বড় বড় সব গাছপালা। এদিকে ঝড়ে যশোর হাই টেক পাওয়ারের একটি টিন শেড ধ্বসে পড়ায় সেখানে অবস্থানরত ১৫ শ্রমিক মারাতœক আহত হন। এদের মধ্যে কামরুল (৫৫), শরিফুল (৩৫), নাজমুল (২৫), তসিকুর (৪৫), তফসীর (২৭), আব্দুল্লাহ (২৫), মালেক (২০), সবুজ (২২)কে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আইটি পার্কের ১৬ তলায় একটি ক্রেন ভেঙ্গে হেলে পড়েছে। যশোর ডিসি কোর্টের ভেতরে বেশ কয়েকটি পুরোনো রেইনটি কড়োই গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। যশোর বোনপোল সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি শত বছরের পুরোনো রেইনটি গাছ উপড়ে গেছে। মণিরামপুর সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ায় রাত থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। এদিকে শহরজুড়ে কালবৈশাখীর তান্ডবে বিদ্যুৎ লাইনের ওপর সাইন বোর্ড, বিল বোর্ড, টিনের চাল, গাছের ডাল ছিড়ে পড়ায় তার ও খুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।