যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যশোর পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল রাত ৯টার দিকে কোতয়ালী থানার এসআই মোকাদ্দেস হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলা নম্বর ১২২/১৬ । মামলায় শাহীন চাকলাদার ছাড়াও শাহারুল ইসলাম ও আনিচুর রহমানকে আসামী করা হয়েছে। এরা উভয়ই ইউপি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদর উপজেলার আরবপুর ও দেয়াড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে শাহীন চাকলাদারের নেতৃত্বে অপর দুই আসামি প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম ও এনামুল হক চঞ্চলকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য করেন। যা নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৭৩ ধারার লংঙ্ঘন বলে নির্বাচন কমিশনের এক পত্রে জানানো হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর ৭৩ ধারা লংঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে শাহীন চাকলাদার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করে তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টায় পুলিশ সুপারকে এক ফ্যাক্সবার্তায় নির্বাচন কমিশন এই নির্দেশনা দেয়।
যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ‘বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় ওই নির্দেশনার কপি তিনি হাতে পান। এরপর কোতোয়ালি থানার ওসিকে ডেকে চিঠিটি তার নামে ফরওয়ার্ডিং করে দেওয়া হয়েছে। তিনিই মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এসআই মোকাদ্দেস হোসেনকে মামলাটি দায়ের করার নির্দেশ দেন। তার পরই দারোগা মোকাদ্দেস হোসেন বাদী হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী শাহীন চাকলাদার, শাহারুল ইসলাম ও আনিচুর রহমানকে আসামী করে মামলা রেকর্ড করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইসির নির্দেশে এই মামলা করা হয়েছ্ েযার অনুলিপি ইসিকে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, ইসির নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশ মামলাটি করেছে। অন্যান্য মামলার মতোই এই মামলার কার্যক্রমও স্বভাবিক ভাবে চলবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহামুদ হাসান বিপু জানান, চিঠির বিষয়টি শাহীন চাকলাদার জানেন। তিনিও সকালে ইসির দেওয়া চিঠির অনুলিপি পেয়েছেন। রাতে পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে মামলায় শাহীন চাকলাদার ছাড়াও অন্য কে কে আসামী তা বলতে পারছি না।
উল্লেখ্য, ৩১ মার্চ যশোর সদর উপজেলার ইউপি নির্বাচনের আগে ওই দুই ইউনিয়নের বিরোধীদল সমর্থিত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বিএনপি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে, সরকারি দলের নেতা ও ক্যাডারদের তীব্র চাপের মুখে ওই সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে যান।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর ৭৩ ধারা লংঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে শাহীন চাকলাদার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করে তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টায় পুলিশ সুপারকে এক ফ্যাক্সবার্তায় নির্বাচন কমিশন এই নির্দেশনা দেয়।
যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ‘বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় ওই নির্দেশনার কপি তিনি হাতে পান। এরপর কোতোয়ালি থানার ওসিকে ডেকে চিঠিটি তার নামে ফরওয়ার্ডিং করে দেওয়া হয়েছে। তিনিই মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এসআই মোকাদ্দেস হোসেনকে মামলাটি দায়ের করার নির্দেশ দেন। তার পরই দারোগা মোকাদ্দেস হোসেন বাদী হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী শাহীন চাকলাদার, শাহারুল ইসলাম ও আনিচুর রহমানকে আসামী করে মামলা রেকর্ড করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইসির নির্দেশে এই মামলা করা হয়েছ্ েযার অনুলিপি ইসিকে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, ইসির নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশ মামলাটি করেছে। অন্যান্য মামলার মতোই এই মামলার কার্যক্রমও স্বভাবিক ভাবে চলবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহামুদ হাসান বিপু জানান, চিঠির বিষয়টি শাহীন চাকলাদার জানেন। তিনিও সকালে ইসির দেওয়া চিঠির অনুলিপি পেয়েছেন। রাতে পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে মামলায় শাহীন চাকলাদার ছাড়াও অন্য কে কে আসামী তা বলতে পারছি না।
উল্লেখ্য, ৩১ মার্চ যশোর সদর উপজেলার ইউপি নির্বাচনের আগে ওই দুই ইউনিয়নের বিরোধীদল সমর্থিত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বিএনপি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে, সরকারি দলের নেতা ও ক্যাডারদের তীব্র চাপের মুখে ওই সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে যান।