শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র পেয়েছে তার মালিকানা এখন জনগণের কাছে নেই। আমরা জনগণের হাতে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে চাই।’
বক্তব্যে খালেদা জিয়া বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রশাসন ও পুলিশসহ রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হবে। সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনে যোগ্যতার মাপকাঠি হবে মেধা, দক্ষতা, প্রশিক্ষণ।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে মানুষ উপলব্ধি করেছে যে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা একনায়কতন্ত্রের জন্ম দেয়। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র কমিয়ে ভারসাম্য আনা হবে।’
এছাড়া জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি দুর্নীতির সঙ্গে কোনো আপষ করবে না। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে সংকীর্ণ দলীয় মানসিকতা থেকে বের হয়ে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে বিএনপি সব সময়ই সোচ্চার। ভবিষ্যতে ক্ষমতা গেলে আমরা সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবো।’
এর আগে সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
ছয় বছর পর বিএনপির এই কাউন্সিল ঘিরে সকাল থেকেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে উৎসবমুখর পরিবেশে জড়ো হন নেতা-কর্মীরা।