সম্পাদকীয়: বিদেশে থাকা রিজার্ভেও হামলা। নিরাপত্তা কে দেবে!

Slider অর্থ ও বাণিজ্য জাতীয় টপ নিউজ তথ্যপ্রযুক্তি বাংলার মুখোমুখি বিনোদন ও মিডিয়া সম্পাদকীয় সারাদেশ সারাবিশ্ব

5472_bdড. এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইন চীফ, গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা:  কেন্দ্রিয় ব্যাংকের রিজার্ভ ভেঙ্গে ইতিহাস ভঙ্গকারী টাকা লুটের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কারা জড়িত তা চিহিৃত করে এখনো আটক করতে না পারায় সহজেই মনে হতে পারে যে কার নিরাপত্তা কে দেবে এই প্রশ্নটির। ঘটনার প্রেক্ষাপট পর্যালোচনায় বলতে হয় বাংলাদেশ বাংকের দায়ী ব্যাক্তি কারা তাও এখনো সুনিষ্টিভাবে চিহিৃত করা যায় নি। ১২জনকে নজরে রাখা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে মাত্র।

সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, এই ঘটনার সঙ্গে দাপ্তরিক কাজে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কি দায় এড়াতে পারবে? কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সরকারের তেমন কোন তৎপড়তা লক্ষ্যও করা যাচ্ছে না। আমাদের কেন্দ্রিয় ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থ মন্ত্রনালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় সহ প্রায় সকল মন্ত্রনালয়। আর সকল মন্ত্রনালয়ের দাপ্তরিক কাজ গুলো করছে তথ্য ও প্রয়ুক্তি মন্ত্রনালয়।

যে টুকু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কেলেংকারীটি তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের অবহেলা বা কতিপয় ব্যাক্তির পূর্ব পরিকল্পনায় সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। যেহেতু বলা হচ্ছে, হ্যাকাররা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তাই আইটি সেক্টরের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ঘটনা ঘটিয়েছেন। আইটি সেক্টর তথ্য  ও প্রযুক্তি মন্ত্রানালয়ের অধীন। তাই চোর বা ডাকাত ধরা সহজ হবে কারণ তথ্য মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। একই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর পদমর্যাদায় উপদেষ্টা হিসেবে আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের সহযোগিতার জন্য প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক তো আছেনই।

সুতরাং আমরা আশাবাদী অচিরেই চোর বা ডাকাত ধরা পরবে। আর জাতিও কলংকমুক্ত হবে। তবে দাবি থেকে যায় যে, পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ যেমন পুলিশ তদন্ত করে বিধায় ভাল ফলাফল পাওয়া যায় না ঠিক তেমনি এই ঘটনাটার তদন্তও যেন তেমন না হয়। একটি আন্ত;দেশিয় তদন্ত টিম গঠন করলে তদন্ত সুষ্ঠু হতে পারে। যেহেতু ঘটনাটি আন্তর্জাতিক কেলেংকারী হয়ে গেছে। যার সঙ্গে একাধিক রাষ্ট্র জড়িয়ে আছে।

এমতাবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ হতেই পারে যে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মত যারা নিরাপত্তা দেবে তারা যদি নিরাপত্তা ভঙ্গের কারণ হয় তবে রাষ্ট্রের মালিক নাগরিকের জান মাল দেখবে কে? আর জনগনের টাকা রাখার একমাত্র জায়গা বাংলাদেশ ব্যাংক যা কেন্দ্রিয় ব্যাংক, সেখানেও যদি চোর ঢুকে যায় তবে নিরাপত্তা প্রশ্নের মধ্যে তো পড়বেই। আবার কেন্দ্রিয় ব্যাংকে মজুদ টাকা নয় বিদেশে রক্ষিত আপতকালীন রিজার্ভ লুট হয়ে গেলে কার নিরাপত্তা কে দেবে? তবে কি পরিস্থিতি অন্ধকার নয়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *