যৌন হয়রানির প্রতিবাদে মা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম

Slider নারী ও শিশু

 

2015_08_24_21_34_38_SCq4Jbd6LoqQm9ekF5SpDmj0Z4QZdi_256xauto

 

 

 

 

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করার পর মা ও মেয়েসহ পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের ধলু চন্দ্রের স্ত্রী শশিবালা (৩৫), মেয়ে ঝর্ণা রানী (১৪) ও ছেলে গোপার চন্দ্র (৯)।

সোমবার সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কথা হয় তাদের সঙ্গে। এ সময় ঝর্ণা জানান, সে কোচাশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। তাকে স্কুলে যাতা-যাত করার সময় প্রায় দিনই যৌন হয়রানির শিকার হতে হতো। তার ভাষ্য মতে, একই গ্রামের মোগলা চন্দ্রের ছেলে মিলন চন্দ্র (২৪) তাকে যৌন হয়রানি করতো। এতে ওই ছাত্রী অতিষ্ট হয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়।

শশিবালা জানান, মেয়ের মুখে এ সব কথা শোনার পর তিনি রোববার বেলা ৩টার দিকে মিলনের মাকে ডেকে প্রতিবাদ করেন। এতে মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে মিলনের নেতৃত্বে ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত সন্ধ্যার পর তাদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।

স্থানীয়রা জানান, দুর্বৃত্তরা এ সময় নয় বছরের শিশু গোপালসহ মেয়ে ঝর্ণা রানী ও তার মা শশিবালাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে জখম করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

ধলু চন্দ্র জানান, এ সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে বাড়িতে এসে আহত স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তবে ঘটনার সত্যতা জানতে কথা বলার জন্য একাধিক বার চেষ্টা করা হলেও মিলনকে পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সজিব কুমার সরকার বাংলামেইলকে জানান, আহতদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাদের যথারীতি চিকিৎসা চলছে। ২/১ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক  বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি শোনার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফোর্স পাঠিয়ে দিয়ে আহতদের খোঁজ-খবর নেয়া হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *