কামরুল ও মোজাম্মেল হকের বক্তব্য রাজনৈতিক মাস্তানি’

Slider টপ নিউজ রাজনীতি

4500_Untitled-2

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক যে বক্তব্য দিয়েছেন তা চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও রাজনৈতিক মাস্তানি বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে ওই দুই মন্ত্রীর বক্তব্যকে বিচারবিভাগের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছে দলটি। আজ সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,  প্রধান বিচারপতির সরে যাওয়া উচিৎ এবং তিনি বিএনপি-জামায়াতের সুরে কথা বলছেন বলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল এবং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক যে মন্তব্য করেছেন তা রাষ্ট্রের একটি স্বতন্ত্র অঙ্গ হিসেবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর নগ্ন হস্তক্ষেপ। এইসব বক্তব্যে আবারো প্রমাণিত হলো-‘৭৫ এর একদলীয় বাকশাল তার সকল আগ্রাসী শক্তি নিয়ে পূণর্জন্ম লাভ করেছে। তিনি বলেন, মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল প্রধান বিচারপতি অতিকথন করেন উল্লেখ করে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাহলে বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক কি এই আওয়ামী শাসনামলে তার বিচারক জীবনে যেভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন এবং বিচারের নামে দেশের গুনী ব্যক্তিদের নির্যাতন করেছেন সেটাকে জনগণ কী হিসেবে গ্রহণ করেছেন সেটা কি তিনি কখনো উপলব্ধি করেছেন? আইনের শাসনের পক্ষে ন্যায়সঙ্গত কথা বলা শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গেলেই তখন তারা সকল মাত্রা অতিক্রম করে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রিজভী আহমেদ বলেন, প্রধান বিচারপতির ওপর এই আক্রমণ আইন অমান্যকারী অপরাধী গ্যাংদের সমতুল্য। বর্তমান ম্যান্ডেটবিহীন ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা সরকার বিরোধী দল নিধনে ক্রমাগতভাবে শাসন বিভাগকে নিজ দলের লোকজনদের দিয়ে সাজানো আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সরকার প্রধানের হীন প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে অনুগত ভাড়াটিয়া বাহিনীর মতো যেভাবে কাজ নৃশংস কাজ করেছে সেটি মধ্যযুগেরই সমতুল্য। ঠিক একইভাবে একদলীয় চেতনায় একতরফাভাবে আইন বিভাগকেও সাজানো হয়েছে। এখন শুধু বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না নিতে পেরে আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতারা হুমকি ও ধমকের আশ্রয় নিয়েছেন।  প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে ও দুই মন্ত্রীর বক্তব্য বর্তমান অবৈধ সরকারের একদলীয় শাসনের যাত্রাপথে চুড়ান্তভাবে সব সীমানা লঙ্ঘন করলো। বিএনপির এই নেতা বলেন, এডভোকেট কামরুল ও আ ক ম মোজাম্মেল হকের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে বক্তব্য চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ, হুমকিমূলক এবং রাজনৈতিক মাস্তানি। তাদের বক্তব্য আদালত অবমাননা। দুই মন্ত্রীর বক্তব্য ‘ফেনীর হাজারী কালচার’ এরই বহিঃপ্রকাশ। প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে দুই মন্ত্রীর বক্তব্য ধৃষ্টতাপূর্ণ, উস্কানিদানকারী, দূরভিসন্ধিমূলক চক্রান্তের পথে অগ্রসর হওয়া। তাদের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিএনপি। ক্রিকেট ফাইনাল খেলা দেখার জন্য টিকিট প্রত্যাশীদের ওপর নৃশংস হামলার  নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী আহমেদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *