শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান মোবাইল ফোনের এক বার্তায় জানিয়েছেন, বুধবার বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে ওই এটিএম কার্ডগুলো উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, ডিএসএল কুরিয়ারের বৈধ কাগজবিহীন পাঁচটি পার্সেলে হংকং থেকে এগুলো এসেছে।
গত ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের ছয়টি বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বসিয়ে তথ্য চুরির পর এটিএম কার্ড ক্লোন করে গ্রাহকের অজান্তে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে তদন্তে নেমে এটিএম বুথের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক বিদেশি নাগরিক ও তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ বলছে, এই জালিয়াতিতে ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার তথ্য গ্রেফতার বিদেশি নাগরিক পিওতর সেজেফান মাজুরেক ইতোমধ্যে গোয়েন্দাদের দিয়েছেন।
মাইক্রোচিপের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা প্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ফাইবার এট হোম এর চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির জানান, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এভাবে টাকা চুরি করতে হলে প্রথমে কোনো একটি কার্ডের সমস্ত তথ্য নিতে হয়। এজন্য দরকার হয় একটি স্ক্যানার, যাকে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বলা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এটিএম মেশিনে কার্ড রিডারের কাছাকাছি কোথাও ক্ষুদ্র এই স্ক্যানার বসাতে হয়। কোনো কার্ড মেশিনে ঢোকানো হলে তার ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ থেকে গ্রাহকের সমস্ত তথ্য ওই স্ক্যানার কপি করে ফেলে। পরে স্ক্যানার থেকে পাওয়া তথ্য একই ধরনের চিপ সম্বলিত আরেকটি ফাঁকা কার্ডে ভরে দিলেই তৈরি হয়ে যায় ক্লোন। আর বুথের সুবিধাজনক জায়গায় অতিক্ষুদ্র ক্যামেরা বসিয়ে চুরি করা হয় গ্রাহকের পিন নম্বর। ওই পিন ব্যবহার করে ক্লোন কার্ড দিয়ে গ্রাহকের অজান্তেই বুথ থেকে তুলে নেওয়া হয় টাকা।