ঢাকা : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর মামলা পরিচালনা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলেন সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি আপিল বিভাগে গিয়ে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ‘প্রত্যন্ত বৈরি পরিবেশের’ কথা বলে মামলার কার্যক্রম থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বিচারপতি নজরুল।
তিনি তার বক্তব্যের একটি কপি সাংবাদিকদের কাছে পড়েও শোনান।
ওই কপিতে তিনি বলেন, ‘আইন ও সংবিধানসম্মতভাবে আমি মীর কাসেমের মামলায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যন্ত বৈরি পরিবেশের কারণে আমি এই মামলার কার্যক্রম থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হচ্ছি।’
‘গত ১২ ডিসেম্বর আমি বিচারপতি থেকে অবসর গ্রহণ করি। ৩ জানুয়ারি থেকে আমি আপিল বিভাগে নিয়মিত বিভিন্ন মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছি। ইতোমধ্যে অন্তত দুটি মামলায় একটি মক্কেলের পক্ষে ও তিনটি মামলায় অপর মক্কেলের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছি।’
‘উক্ত মামলাগুলো শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল আমার প্র্যাকটিস বা নৈতিকতা নিয়ে আপত্তি তোলেননি। কিন্তু মীর কাসেম আলীর মামলা পরিচালনা করতে গেলে অ্যাটর্নি জেনারেল আমার প্র্যাকটিসের নৈতিকতা ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলেন বিচারপতি নজরুল।
কিছুদিন ধরে গুঞ্জন চলছিল বিচারপতি নজরুল যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি মীর কাসেম আলীর পক্ষে ওকালতি করবেন না।
গতকাল (রোববার) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ওই মামলার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অবসর নেয়ার পর আইনজীবী হিসেবে আদালতে প্র্যাকটিস করার সাংবিধানিক অধিকার বিচাপতিদের। সোমবার মীর কাসেমের মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে নজরুল ইসলাম তার কথা তুলে ধরবেন।’
সোমবার সকালে ‘প্রত্যন্ত বৈরি পরিবেশের’ কথা বলে মীর কাসেমের মামলার কার্যক্রম থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন বিচারপতি নজরুল।