শনিবার শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

 

 

index

 

 

 

 

ঢাকা: ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’- স্লোগানে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ৯ম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব।

চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটের ১৫টি ভেন্যুতে ৭ দিন ব্যাপী এই উৎসবে ৩০টি দেশের দেড় শতাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের পরিচালক রায়ীদ মোরশেদ এ তথ্য জানান।

এবার উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি প্রাণ আর এফ এল (প্রাণ হুররে)।

রায়ীদ জানান, ২৩ জানুয়ারি ঢাকায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে মূল উৎসবের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

উদ্বোধনের দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা, সন্ধ্যা ৬টায় মোট ৪টি করে প্রদর্শনী হবে মূল উৎসবে। অপর কেন্দ্রগুলোতে সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। সব প্রদর্শনী শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে।

রায়ীদ মোরশেদ আরও জানান, এবারও উৎসবের অন্যতম আর্কষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা। এ বিভাগে এবার ৮০টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে।

এরমধ্যে নির্বাচিত ৩৩টি ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে। এই ৩৩টি ছবির মধ্যে ৫টি ছবি পাবে পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে থাকছে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও আর্থিক প্রণোদনা।

এরমধ্যে প্রথম স্থান পাওয়া ছবির জন্য ২৫ হাজার, দ্বিতীয় ১৫ হাজার ও তৃতীয় ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হবে।

পুরস্কারের জন্য গঠিত ৫ সদস্যের জুরি বোর্ডের সবাই শিশু কিশোর। শিশুরাই শ্রেষ্ঠ ছবি বাছাই করবে। প্রতিযোগিতায় যাদের ছবি প্রদর্শিত হবে তারা উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পাবে।

রায়ীদ জানান, উৎসবে থাকছে বড়দের নির্মিত শিশুতোষ চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এতে বিচারক হিসেবে থাকছে চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, চলচ্চিত্র সমালোচক সাজেদুল আউয়াল ও জাকির হোসেন রাজু।

উৎসবে আরও থাকছে তরুণ নির্মাতাদের জন্য ইয়ং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড ও সোস্যাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড (শিশুদের ওপর নির্যাতন বিষয়ক ছবি)।

২৬ জানুয়ারি জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল ‘শিশুদের উপর নির্যাতন’ বিষয়ে দুই পর্বের সেমিনার ও ২৭ জানুয়ারি অমিতাভ রেজার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হবে কর্মশালা।

রায়ীদ জানান, উৎসবের প্রতিটি ভেন্যুর প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকতে স্কুল-কলেজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আগামী ২৯ জানুয়ারি পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়নে সব বিভাগের সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান করা হবে।

উৎসবে ১০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন উৎসবে সহযোগিতা করছে।

ঢাকার বাইরে সিলেটে উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করছে মুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি, রাজশাহীতে চিলড্রেন ফিল্ম সোসাইটি। শিশুদের জন্য উৎসবটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বৃহৎ উৎসব।

উপ-উৎসব পরিচালক আবির ফেরদৌস মুখর বলেন, বাংলাদেশের ৩৭টি ছবি প্রদর্শিত হবে। এরমধ্যে ৩৩টি শিশুদের ও ৪টি বড়দের নির্মিত। এছাড়া ইয়ং ১৯টি ও সোস্যাল ৭টি ছবি প্রদর্শিত হবে। উদ্বোধনের দিন ‘মাইফ্রেন্ড রাফি’ নামে রাশিয়ার এক শিশুর ছবি প্রদর্শিত হবে।

প্রাণ কনফেকশনারির হেড অব মার্কেটিং একেএম মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, আমরা শিশুদের জন্য পণ্য তৈরি করলেও তাদের জন্য তেমন কিছু করা হয় না।

তিনি বলেন, চলচ্চিত্র উৎসবসহ শিশুদের জন্য এ ধরনের প্রেরণার অনেক উৎসবের আয়োজন প্রয়োজন। ভবিষ্যতে প্রাণ আরও বেশি সহযোগিতা করবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ কনফেকশনারির ব্র্যান্ড ম্যানেজার সাখাওয়াত আহমেদ, চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মনিরা মোর্শেদ মুন্নি উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *