দেবপ্রিয় দম্পতির ব্যাংক হিসাব তলব

Slider অর্থ ও বাণিজ্য জাতীয়

109672_f2

 বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী ড. ইরিনা ভট্টাচার্যের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ তথ্য (বিও হিসাব) ও ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। গত ৪ঠা জানুয়ারি সিআইসির সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে ব্যাংক হিসাব ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডর (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে তথ্য জানতে চেয়ে দুটি চিঠি দিয়েছে।
সিডিবিএলে পাঠানো একটি চিঠিতে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী ড. ইরিনা ভট্টাচার্য বা তাদের পরিবারের অন্য কোন সদস্যের একক বা যৌথ নামে যে কোন বিও হিসাব পরিচালিত বা রক্ষিত হয়ে থাকলে ওই হিসাবের ২০০৮ সালের ১লা জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী জরুরি ভিত্তিতে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ১১৩(এফ) ধারার ক্ষমতাবলে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি আগে ছিল কিন্তু এখন বন্ধ হয়ে গেছে এমন বিও অ্যাকাউন্টের তথ্যও ওই চিঠিতে পাঠাতে বলা হয়।
বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো দ্বিতীয় চিঠিতে দেবপ্রিয় ও তার স্ত্রী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের একক বা যৌথ নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব, মেয়াদি আমানত হিসাব (এফডিআর ও এসটিডি হিসাবসহ যে কোন ধরনের বা নামের মেয়াদি আমানত হিসাব), যে কোন ধরনের বা মেয়াদের সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোন ধরনের সেভিংস ইন্সট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিম বা অন্য যে কোন ধরনের বা নামের হিসাব পরিচালিত বা রক্ষিত থাকলে ২০০৮ সালের ১লা জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী ও ঋণের বিপরীতে রক্ষিত জামানতের বিবরণী পাঠাতে বলা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংক ও সিডিবিএলকে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ধারা ১২৪(১) অনুযায়ী এককালীন ২৫ হাজার টাকা এবং পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। পাশাপাশি আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ধারা ১৬৪(সিসি) ধারা অনুযায়ী অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড আরোপে ফৌজদারি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ড. দেবপ্রিয় বলেন, এনবিআর তার আইন অনুযায়ী যতটুকু করতে পারে করুক। তবে এ অভিজ্ঞতা আমার নতুন নয়, ২০০৩-০৪ সালেও অর্থনৈতিক বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার কারণে বিএনপি সরকারের সময় অনুরূপ পদক্ষেপ নিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *