ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ ও অনলাইন নীতিমালা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেছেন, সরকার শুধু গণতন্ত্রকে ‘হত্যা’ করেই থেমে থাকেনি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকও বন্ধ করে দিয়েছিল। নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে টিভি টকশোর ক্ষেত্রেও। এমনকি অনলাইন নীতিমালার নামে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এক সম্মেলনে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশের (বিএনপিপন্থি) সম্মেলনের প্রধান অতিথি বিএনপি প্রধান বলেন, ‘ঘরে বাইরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে কোথাও আজ সাংবাদিক-পেশাজীবীরা নিরাপদ নয়। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাগর-রুনিসহ ২৪জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই হাজারের বেশি।
অনলাইন নীতিমালার নামে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রেজিস্ট্রেশনের নামে সরকার আওয়ামী লীগ মতাদর্শের অনলাইন পত্রিকা, সংস্থা ও নিউজপোর্টাল রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। সমালোচনা করলেই সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করছে সরকার।
অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ভোটারবিহীন এই সরকারের অপকর্ম তুলে ধরায় বেশ কয়েকটি টিভি ও পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকার বাইরের শত শত পত্রিকা। ফলে হাজার হাজার সাংবাদিক বেকার হয়ে পড়েছেন।’
বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত বিএফইউজে-এর এই অংশের নেতৃত্বে আছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ।
তবে সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আবদুল্লাহ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, এমএ আজিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি আবদুল হাই সিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।