ঈদের দিনেও গাজায় গোলাবর্ষণ: এক শিশু নিহত

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ সারাদেশ সারাবিশ্ব

57986_gaza_eid_304x171_none_nocredit
গ্রাম বাংলা ডেস্ক: ঈদের দিনেও গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। রোববার রাত থেকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও সোমবার ইসরাইলি বিমানগুলো গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে।
সোমবার সকালে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আশকালন লক্ষ করে গাজা থেকে ছোঁড়া এক রকেট হামলার অজুহাতের কথা বলে ইসরাইল আবার হামলা চালিয়েছে ।
উত্তর গাজায় ইসরাইলি ট্যাংকের একটি গোলা একটি বাড়িতে আঘাত হানলে চার বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তিনটি ইসরাইলি আক্রমণের ঘটনায় আরেক ব্যক্তির মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করা হয়েছে। একটি উদ্বাস্তু শিবির এবং একটি হাসপাতালও ছিল সোমবারের হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু।
ইসরায়েল অভিযান শুরু করার পর এক হাজারের ওপর ফিলিস্তিনি মারা গেছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক মানুষ ।
জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ রোববার রাতে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিল।
নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে দুই পক্ষই সমালোচনা করেছে।
ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের প্রধান মুস্তাফা বারগুটি বলছেন, গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানের জন্য তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
তিনি জাতিসঙ্ঘের বিবৃতিকে ‘খুবই দুর্বল’ বলে অভিহিত করে বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত যে নেয়নি, তাতে এটা স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে রক্ষা করতে চায়।
‘বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরাইলি আচরণ একটা আগ্রাসন এবং গণহত্যার এই ঘটনা যুদ্ধাপরাধের সামিল,’ বারগুটি বলেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিটার লার্নার হামলা শুরু করার জন্য হামাসের ওপর দোষ দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে আগ্রহী হলেও হামাস যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী নয়।
হামাসের মুখপাত্র ইহাব-আল ঘুসেইন বলেছেন, গাজা সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হলে শান্তি আসবে না।
ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার অধিকার, সীমান্ত খুলে দেয়া এবং অবরোধের অবসান ঘটিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে মাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *