তামাশা করতেই বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গেছেন খালেদা

Slider রাজনীতি
pmnweabg_332706578
তামাশা করতেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুর আড়াইটায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন,বুদ্ধিজীবীদের যারা হত্যা করেছিল, তাদেরকে যে মন্ত্রী বানায় সে কোন মুখে শ্রদ্ধা জানাতে যায়? মানুষের সঙ্গে তামাশা করা ছাড়া আর কী?

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, উনি এটা করে কী বোঝাতে চেয়েছেন? কী নাটক করতে চেয়েছিলেন? উনি নটাঙকি ভালোই জানেন ।

যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মো. মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির কয়েক ঘণ্টা আগে খালেদা জিয়ার লন্ডন থেকে দেশে ফেরার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যেই ফাঁসির ঘোষণা করা হলো, উনি লন্ডন থেকে ছুটে চলে এলেন। ভেবেছিলেন, আন্দোলন করে ফাঁসি বন্ধ করবেন।

সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন অবস্থা তৈরি করেছিল, দেশের স্বাধীনতা আনাই যেন বিরাট অপরাধ। মুক্তিযুদ্ধটাই যেন অপরাধ।

তিনি বলেন, একেক রাতে একশ করে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিককে হত্য করেছে জিয়াউর রহমান । পাকিস্তান আমাদের বিজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে। তার স্ত্রী একই কাজ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, তাদেরকে যে মন্ত্রী বানায় সে কোন মুখে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধাও তার সাথে যায়। তাদের লজ্জা থাকা উচিত। কোন মুখে যায়। নিজেদের যদি লজ্জা-শরম-ঘেন্না-পিত্তি থাকতো, তাহলে যেত না।

খালেদা জিয়ার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যাওয়া ধোঁকা দেওয়া ছাড়া কিছুই না বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ধার করে ঘি খাওয়ার চেয়ে নিজের শক্তিতে নুন খাওয়াই বড় কথা। ভিক্ষা করে বিলাসিতা করে নয়, কুঁড়ে ঘরে থেকে, কুঁড়ে ঘরেই থাকবো। তাও কারো কাছে হাত পাতবো না। মাথা নত করবো না। বাংলাদেশের মানুষকে সেই চেতনা নিয়েই থাকতে হবে।

তিনি বলেন, দেশকে গড়ে তুলবো- উন্নত দেশ হিসেবে। যারা রক্ত দিয়ে গেছেন- তাদের রক্তের মর্যাদা দিতে হবে। আমার বাবা- জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান জেল খেটেছেন, আমরা তো সন্তান হিসেবে পিতৃস্নেহ বঞ্চিত হয়েছি। আমরা তো সে সব মেনে নিয়েছি। ত্যাগ করে গেছেন তিনি- এই ত্যাগ বৃথা যায়নি, তিনি দেশ স্বাধীন করে গেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন বন্ধ করার নামে শত শত মানুষকে হত্যা করা, আহত করা হলো। আবার নির্বাচনের পরেই ঠিক ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হলো মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি। তখন প্রায় দেড় শ’র মতো মানুষকে হত্যা করা হলো, গাড়িতে আগুন দেওয়া হলো। আসলে এসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো এবং দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া। আজকে দেশের মানুষ খেতে পারছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি আমরা, দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে- এটাই তাদের দুঃখ, কারণ তারা চায়নি বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক কখনও।

যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি ঘৃণা জানাতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভনেত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ যদি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চায় তাদের ঘৃণা করবেন। তাদেরও বিচার যুদ্ধাপরাধীদের মত হবে। তারাও যুদ্ধাপরাধী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *