তারানা হালিমের চিঠিতে ফেসবুকের সাড়া, বৈঠকে আগ্রহী

Slider তথ্যপ্রযুক্তি

trana

 

 

 

 

 

ঢাকা: আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসব‍ুক কর্তৃপক্ষ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের চিঠি পাঠানোর একদিন পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ফিরতি চিঠিতে আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছে।

নারী ও শিশুর প্রতি অবমাননাকর বিষয়সহ সাইবার ক্রাইম রোধ এবং আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে সোমবার (৩০ নভেম্বর) ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ই-মেইলে চিঠি পাঠান তারানা হালিম।

ওই চিঠি পাঠানোর একদিন পর মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ রিপ্লাই দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

তারানা হালিম বলেন, ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর (ইন্ডিয়া, সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া) আঁখি দাশ আমাকে ই-মেইল করেছেন।

চলতি মাসের ৬ বা ৭ তারিখ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান তিনি।

‘তারা (ফেসবুক) আমাদের সঙ্গে বসতে চায়, আমরাও বসবো। তাদের আমন্ত্রণ জানাবো আমরা,’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘কোনো চুক্তি না থাকায় নারী ও শিশুর প্রতি অবমাননাকর ও আপত্তিকর কিংবা অন্যান্য বিষয়ে কোনো তথ্য চাইলে তারা (ফেসবুক) সাড়া দেয় না।’

তারানা হালিম বলেন, ‘আমাদের দেশে যেটা আপত্তিকর সেটা তাদের ওখানে আপত্তিকর নাও হতে পারে। কোনটা আপত্তিকর, কোনটা মানহানিকর সেটা নিয়ে বসা দরকার।

বিটিআরসি’র তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচ কোটি ৪৬ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

এর মধ্যে প্রায় তিন কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন তারানা হালিম।

তিনি মনে করেন, ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা করে চুক্তি হলে দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যার সমাধান হবে।

গত ১৮ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এখনও তা খুলে দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এ বিষয়ে ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিগন্যাল পেলেই ফেসবুক খুলে দেওয়া হবে’ বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *