ক্ষমা না চাইলে পাকিস্তান দূতাবাস বন্ধের দাবি

Slider সারাবিশ্ব

 

 

 

pakistan_high_commissioner__175159

 

 

 

 

যুদ্ধাপরাধী সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি নিয়ে করা পাকিস্তানের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বক্তব্য প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়েছেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নেতারা।  তা না হলে বাংলাদেশে পাকিস্তান দূতাবাস বন্ধের দাবিও জানান তারা।

সোমবার সকাল ১০টায় নগরীর নিউমার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত হরতাল বিরোধী সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় জামাত-শিবির আহুত হরতালের প্রতিবাদে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সংগঠনের দক্ষিণ জেলার সভাপতি কমান্ডার মো. ইদ্রিসের সভাপতিত্বে ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বি কে বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইফতেকার সাইমুল চৌধুরী, সংগঠনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদস্য সচিব বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, মহানগর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টু, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক খালেদা আক্তার চৌধুরী, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা গৌরি শংকর চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার আজম, মোফাচ্ছেল চৌধুরী মানিক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা এম এ সালাম, আব্দুল মালেক খান, নাজিম উদ্দিন, পলাশ বড়ুয়া, নাছির উদ্দিন রিয়াজ, আরিফ মঈনুদ্দিন, সেলিম চৌধুরী, শাহেদ মুরাদ শাকু, আবু বক্কর চৌধুরী, এড. কামরুল আজম টিপু, ইয়াসির আরাফাত, এড. সাইফুন্নাহার শেফু, মইনুল আলম খান, শফিকুর রহমান, মো. সেকান্দর আলী, আফছারুল হক, সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন, এড. হুমায়ুন কবির, আবু তালেব চৌধুরী সানি, আবদুল ওয়াজেদ সিদ্দীকি, শেখ আবদুল্লাহ্, রাকেশ রায় চৌধুরী, আসিফ ইকবাল, ইমরান হোসেন মুন্না প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধী সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ। এ বক্তব্য ১৯৭১ সালে তাদের চরম পরাজয়ের প্রতিশোধ স্পৃহার বহিঃপ্রকাশ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অব্যাহত ষড়যন্ত্র আজ বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। দেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের উত্থানের যে অপচেষ্টা তা
পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে পরিচালিত হচ্ছে বলে নেতারা অভিযোগ করেন।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর নিউমার্কেট, জিপিও, কোতোয়ালী এলাকা প্রদক্ষিণ করে দোস্ত বিল্ডিং চত্বরে এসে শেষ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *