জাবি : ‘স্মৃতির টানে ফিরছি কামালউদ্দিনে’ এ স্লোগানকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টায় বেলুন উড়িয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন। উদ্বোধন শেষে উপ-উপাচার্যের নেতৃত্বে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় হলের সামনে এসে শেষ হয়।
এসময় হলের শিক্ষার্থীরা ভুভুজেলা বাজিয়ে, রঙ ছিটিয়ে ও বিভিন্ন মুখোশ পরে আনন্দে মেতে ওঠে। হাতি, ছয়টি ঘোড়ার গাড়ি ছিল শোভাযাত্রার বিশেষ আকর্ষণ। শোভাযাত্রায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফখরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক মাহমুদুর রহামান জনি, সমন্বয়ক ফরহাদ রহমান সরকার, কোষাধ্যক্ষ মো. ওয়ালিউল্লাহ ওলি, আ ফ ম কামালউদ্দীন হলের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং হলের আবাসিক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
দিনব্যাপী আয়োজিত এ পুনর্মিলনীতে হলের ৩১টি ব্যাচের (১৪তম ব্যাচ থেকে ৪৪তম ব্যাচ পর্যন্ত) প্রায় সহস্রাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিকেলে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান, সন্ধ্যায় স্মৃতিচারণ, পুনর্মিলনী উপলক্ষে তৈরি বিশেষ ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এসময় তাদের হল জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, ‘জাবির ঐতিহ্যবাহী আ ফ ম কামালউদ্দীন হলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরির জন্য এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য যারা বিভিন্নভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান শেষে রাতে ব্যান্ডদল চিরকুটের পরিবেশনায় হলের সামনের মাঠে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নির্বাচিত উপাচার্য প্রয়াত অধ্যাপক ড. আ ফ ম কামালউদ্দিনের নামে নির্মিত হয় এই আবাসিক ছাত্র হলটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম ব্যাচ (১৯৮৪-৮৫ শিক্ষাবর্ষ) থেকে এ হলের কর্যক্রম শুরু হয়ে হলটি স্বগৌরবে প্রায় ৩০ বছর অতিক্রম করেছে। এ হলের প্রাক্তন ছাত্ররা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অবস্থান করছেন।