১-০তে লিড নিল টাইগাররা

Slider খেলা টপ নিউজ

 

 

2015_11_13_20_16_34_hJG0kChl82QI5WmkfbAy3ruJ5VZi75_original

 

 

 

 

ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার পর দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়েকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ১-০ তে লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা। ১৩২ রানের টার্গেটে নেমে ১৪ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মাশরাফি-তামিম-মুশফিক-মুস্তাফিজরা।

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগারদের দলপতি মাশরাফি। টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে পড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারের ৩ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস। অলআউট হওয়ার আগে জিম্বাবুয়ে ১৯.৩ ওভারে করে ১৩১ রান। বাংলাদেশ ১৭.৪ ওভারে ১৩৬ রান তোলে।

টাইগারদের হয়ে বোলিং উদ্বোধন করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই ওপেনার সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে দেন নড়াইল এক্সপ্রেস। ম্যাশের বলে লিটন দাসের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন ৫ রান করা রাজা। পরের ওভারেই আল আমিনের শিকারে সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার ‍রেগিস চাকাভা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন শূন্যহাতে ফেরা চাকাভা।

ওপেনার সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে দিয়ে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আবারো আঘাত হানেন মাশরাফি। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে জিম্বাবুয়ের দলপতি এলটন চিগুম্বুরাকে সরাসরি বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন টাইগার দলপতি। বিদায় নেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে কোনো রানই আসেনি।

ব্যাটিংয়ের কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেন ক্রেইগ আরভিন এবং শন উইলিয়ামস। স্কোরবোর্ডে ২৮ রান যোগ হতে ইনিংসের নবম ওভারে বোল্ড করে শন উইলিয়ামসকে ফিরিয়ে দেন নাসির হোসেন। ব্যক্তিগত ১৫ রান করে ফেরেন উইলিয়ামস। ইনিংসের ১৫তম ওভারে এসে আরেকবার উইকেটের দেখা পেল টাইগাররা। ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আউট হওয়ার আগে তিনি ২০ রান করেন। এছাড়া ওয়ালারকে সঙ্গ দিয়ে স্কোরবোর্ডে আরও ৬৭ রান যোগ করেন।

ক্রেইগ আরভিনের বিদায়ের পর নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে আসা লুক জঙ্গোকে এলবির ফাঁদে ফেলেন জুবায়ের হোসেন। জিম্বাবুয়ের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তিনি। একই ওভারে এ স্পিনার ফিরিয়ে দেন মাদজিভাকে।

মাত্র ২০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক হাঁকানো ১৫তম ম্যাচ খেলতে নামা ম্যালকম ওয়ালার ক্যারিয়ার সেরা ৬৮ রান করে মুস্তাফিজের বলে আউট হন তিনি। মাত্র ৩১ বলে ৪টি চার আর ৬টি ছক্কায় ওয়ালার তার ইনিংসটি সাজান। পরের ওভারে আল আমিনের বলে ফেরেন গ্রায়েম ক্রেমার। বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩ রান। ২০তম ওভারে পানিয়াঙ্গারাকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে (ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি) সিরিজে প্রথমবারের মতো দলে আসেন এনামুল হক বিজয় এবং জুবায়ের হোসেন লিখন। এ দুই টাইগারদের সুযোগ দিতে জায়গা ছেড়েছেন ইমরুল কায়েস এবং আরাফাত সানি।

বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মাশরাফি, মুস্তাফিজ, আল আমিন এবং জুবায়ের হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট তুলে নেন মাহমুদুল্লাহ এবং নাসির হোসেন।

১৩২ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে হারায়। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে রান আউট হয়ে ফেরেন বিজয়। দলীয় ৬ রানের মাথায় বিজয়ের উইকেট হারিয়ে এগুতে থাকে টাইগাররা। তবে, ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে চিসোরোর বলে বিদায় নেন সাব্বির রহমান। আরভিনের অসাধারণ ক্যাচে আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে তিনটি চারে ১৮ রান করেন সাব্বির।

বিজয়, সাব্বিরের উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দ্রুত উইকেট হারায় মুশফিকের। ব্যক্তিগত ২ রান করে গ্রায়েম ক্রেমারের বলে সিকান্দার রাজার তালুবন্দি হন মুশফিক।

এগারোতম ওভারে নাসির আর তামিমের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। গ্রায়েম ক্রেমারের বলে দুই ব্যাটসম্যানই এলবির ফাঁদে পড়েন। নাসির আউট হওয়ার আগে ১২ বলে একটি করে চার ও ছয়ে করেন ১৬ রান। আর ওপেনার তামিম খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। ২৮ বল মোকাবেলা করে এ বাঁহাতি ওপেনার তিনটি চার মারেন।

টপঅর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তবে, সে বিপদ সামলে নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং লিটন দাস। এ দুজন আরও ৩৮ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। ১৬তম ওভারে চিসোরোর বলে আউট হওয়ার আগে লিটন ১২ বলে দুই চারে ১৭ রান করেন।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২১ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। দলপতি মাশরাফি ১২ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতানি তিনি। ১৪ বল হাতে রেখেই জয় পায় টাইগাররা।

বাংলাদেশ দল : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, জুবায়ের হোসেন লিখন।

জিম্বাবুয়ে দল: সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাভা, এলটন চিগুম্বুরা, ক্রেইগ আরভিন, শন উইলিয়ামস, ম্যালকম ওয়ালার, চিসোরো, তিনাসে পানিয়াঙ্গারা, মাদজিভা, লুক জঙ্গো এবং গ্রায়েম ক্রেমার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *