ঢাকা: বছরজুড়ে বাঙালির উৎসব পার্বণের শেষ নেই। নানা অজুহাতে নানা সময় উৎসবের দেখা মিলবেই। তার ওপর আছে অতিথির আগমন। আর তাইতো বাঙালি রীতি অনুযায়ী সব অজুহাতেই মিষ্টিমুখের প্রচলণটা থাকেই। তাই নানা উপদেশ বাণী আর সচেতনতা উপেক্ষা করেও মিষ্টি খাওয়াটা বন্ধ করতে পারছেন না। নিজের ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়টাও মিষ্টিকে তেতো করতে পারছে না কিছুতেই। অথচ মিষ্টি খেয়েও আপনি থাকতে পারেন একদম ফিট। কিন্তু কিভাবে? হুম, সামান্য কিছু কৌশল মিষ্টিকে আপনার ফ্যাট বাড়াতে দেবে না। বরং মিষ্টি খাওয়াটা চলবে নিশ্চিন্তে। তাই আসুন দেখে নেয়া যাক।
পরিমাণে অল্প
মিষ্টি তো খাবেনই। তাই বলে কারো সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাপুস হুপুস করে পেট পুরে নয়। নিজের লোভ সামলাতে আর খাবারের তালিকা রক্ষার্থে অল্প কিছু খাওয়া চেষ্টা করুন। এই অভ্যাস একদিনে বা একবারে হবে না। তবে আস্তে আস্তে অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারেন।
পরিবর্তক খুঁজুন
মিষ্টির মধ্যেও অনেক ধরণ থাকে। এক্ষেত্রে নিজেকে একটু রুচিশীলের পরিচয় দিতে পারেন। যেন তেন মিষ্টি দেখলেই ঝুঁকে যাবেন না। নিজেকে বোঝান- ভালো মানের মিষ্টি ছাড়া আপনি খান না। মিষ্টিতে যেন মিষ্টির তীব্রতা বেশি না হয়ে ছানার পরিমান বেশি থাকে। অথবা নিমকী, নোনতা প্যাড়া, হালকা মিষ্টির যেকোনো বরফি বা কম মিষ্টির সন্দেশ বেছে নিতে পারেন। এগুলোতে আপনার মিষ্টি খাওয়াটা বজায় থাকলো আবার বেশি কার্বোহাইড্রেট শরীরে প্রবেশ করলো না।
নিজ হাতে মিষ্টি বানান
নিজেদের খাওয়ার জন্য মিষ্টিটা নিজ হাতেই বানিয়ে নিতে পারেন। এখানে আপনি চিনির বদলে স্বাস্থ্য উপকারী চিনি, মধু, বা ম্যাপল সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন। খুব বেশি ঘণ দুধের মিষ্টিও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোও এড়িয়ে যেতে পারেন সহজে।
মিষ্টি কম আনুন
অজুহাত দেখলেই বাড়িতে মিষ্টির আনাগোনা নয়। অতিথি আপ্যায়ন বা যে কোনো অনুষ্ঠানে মিষ্টির উপস্থিতি দরকার, তবে সেটা যেন খুব অল্প পরিমানে হয়। সবাইকে খাইয়ে নিজের ভাগে মিষ্টি যেন কম পড়ে সে ব্যবস্থায় করুন। অনেক সময় মিষ্টি বেশি থেকে যাওয়ার কারণেও তার সৎগতি করতে নিজেকেই পেট পুরে খেতে হয়। এমন পরিস্থিতি ভুলেও করা যাবে না।
হৃদযন্ত্রের উপযোগী নাস্তা
নাস্তার তালিকায় থাকা খাবার গুলো যেন হৃদযন্ত্রের জন্য উপযোগী হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নানা ধরনের সবজি থাকা চাই নাস্তার তালিকায়। এসব সবজিতে থাকা খাদ্যআঁশ আপনার শরীরের প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ করবে। যদি কোনো বেলায় খাবারটা একটু বেশি ক্যালরি পূর্ণ হয়ে যায় তবে পরের বেলায় সবজির স্যুপ, সালাদ বা ফল খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারেন। তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।