ঢাকা: লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান বন্ধ করতে অভিযান চালাবে সরকার। আর এ অভিযানকে সফল করতে ফার্মেসি মালিকদের সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধে’ বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানানো হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, খাবার ও ওষুধে ভেজাল দূর করতে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। দেশে ভেজাল মেশানোর সাম্প্রতিক প্রবণতা জনগণের মধ্যে ব্যাপক আস্থার অভাব সৃষ্টি করেছে।
‘খাদ্য ও ওষুধ গ্রহণে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব যে কোনো মূল্যে সরকার দূর করতে চায়। এজন্য ওষুধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধে ভেজাল মেশানোর ফলে তা প্রাণঘাতী অস্ত্রে পরিণত হয়। খাদ্যে ও ওষুধে ভেজাল মেশানো ঘৃণ্য অপরাধ। এই অপরাধীদের জন্যে মানুষ যেমন মারা যায়, তেমনি প্রকৃত ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এজন্য সরকার লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান বন্ধ করার পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
দেশে লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান প্রায় ৮ হাজারের বেশি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, লাইসেন্সবিহীন দোকান বন্ধ করতে সরকারের উদ্যোগে সহায়তা করলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। সভায় সরকারের অভিযানে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন সমিতির নেতারা।
এসময় স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।