গ্রাম বাংলা ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় টানা ১০ দিনের বিমান হামলার পর বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। বিমান হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পাঁচ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় স্থল অভিযান শুরু করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন। এরপর ইসরায়েলের সাঁজোয়া যান গাজার ভিতরে ঢুকে পড়ে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গাজার বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় গোলাবর্ষণের পাশাপাশি হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজা থেকে হামাসের অব্যাহত রকেট হামলার জবাবে এই স্থল অভিযান শুরু করেছে তারা। এ অভিযানের জন্য ইসরায়েলকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাস।
গত ৮ জুলাই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত ১০ দিনের ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে অন্তত ২৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো সহস্রাধিক মানুষ।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় ১৩৭০টি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহারা হয়েছে।
এ সময়ে হামাসের রকেট হামলায় এক ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
যুদ্ধদুর্গত বেসামরিক মানুষের কাছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে বৃহস্পতিবার পাঁচ ঘণ্টার মানবিক যুদ্ধবিরতি পালন করে উভয় পক্ষ।
তবে এর সময়সীমা শেষ হতে না হতেই উভয় দিক থেকে আবার পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয় বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১০ দিন ধরে হামাসের অব্যাহত স্থল, আকাশ ও নৌ হামলা এবং বিভিন্ন মহল থেকে উত্তেজনা প্রশমনের দাবি উপেক্ষিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গাজা বসতিতে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা মান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের বিমান, পদাতিক ও নৌবাহিনী একযোগে হামলা চালাচ্ছে।