আপনিও হতে পারেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

লাইফস্টাইল

2015_10_30_15_22_00_gayUF7Yilrt1Tl7rzGaW3egaxqePFe_original

 

 

 

 

 

 

 

ঢাকা: আকর্ষণীয় হতে চান সবাই, কিন্তু কীভাবে? অধিকাংশ ছেলেই মেয়েদের মনের সৌন্দর্যকে বিবেচ্য বিষয় হিসেবে ধরেন। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই রূপ সৌন্দর্যকে উপেক্ষা করে শুধু ব্যক্তিত্বের বিচার হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মনের সৌন্দর্য বিচারে আগে প্রাধান্য দেয়া হয় মেয়েদের শারীরিক সৌন্দর্যকে। তারপরেই তার ব্যক্তিত্বের গুরুত্ব দেয়া হয়। বিভিন্ন গবেষণায়ও তার প্রমাণ মেলে। তাই আকর্ষণের কেন্দ্রে নিজেকে সামিল করতে রূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব ও যোগ্যতাকে এগিয়ে নিন। মনের মতো সঙ্গী খোঁজার ক্ষেত্রেও এই বিষয়গুলি প্রযোজ্য। নিজেকে আর পিছিয়ে না রেখে এগিয়ে চলুন আপনিও। যুগের সঙ্গে তাল রেখে করে ফেলুন আকর্ষণীয় হবার মন্ত্র হাসিল।

নারীর চেহারা

গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো পুরুষের কাছে একজন নারীর চেহারা পছন্দ হয়। পরক্ষণে সে, নারীর আন্তরিকতা, মন এবং বুদ্ধির দিকে খেয়াল করেন। প্রথমে উপর এবং পরমুহুর্তেই অন্তরের ভেতরের খবর জানতে চান। মোহনীয় চেহারা দিয়ে আকর্ষণ করা সম্ভব। কিন্তু প্রাধান্য পেতে মনের চেহারা সুন্দর হওয়া চায়।

প্রযুক্তির ব্যবহার

আজকের দিনে প্রযুক্তির উন্নয়নে প্লাস্টিক সার্জারির মতো কাজ করা সম্ভব। যা শরীর বা চেহারাকে ইচ্ছামতো বদলে দেয়। আর ছবিতে মোটা নারীকে স্লিম করা বা বেশি স্লিম নারীকে খানিকটা মোটা করা কোনো ব্যাপারই নয়। তাই ছবি দেখিয়ে কাউকে মুগ্ধ করতে চাইলে ফটোশপের মাধ্যমে চেহারার অনেক ক্রুটি ঢেকে নিজেকে রূপবতী হিসেবে উপস্থাপন করা সম্ভব। তবে সেখানেও আপনার রুচিশীল ব্যক্তিত্ব আর চালচলন সব কিছুকে সামঞ্জস্য দিতে পারে।

অন্তরের সৌন্দর্য

লন্ডনের ওয়েষ্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ড. ভিরেন স্বামীর এক গবেষণায় প্রায় দুই হাজার পুরুষকে প্রথমে স্থূল, রোগা, স্লিম সব ধরণের নারীর দৈহিক সৌন্দর্যের ছবি দেখানো হয়েছিলো। এরপর ছবির সঙ্গে তাদের পরিচয়, ব্যক্তিত্ব, চরিত্র ইত্যাদিও জানানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, দ্বিতীয়বার সব পুরুষের মনেই নারী চরিত্রের প্রভাব বেশি পড়েছে। অর্থাৎ চেহারার চেয়ে স্বভাব-চরিত্রকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষণায় অংশ নেয়া পুরুষরা। তাই তিনি বলেন, অন্তরের সৌন্দর্যই আসল সৌন্দর্য।

সুন্দর ব্যবহার

ভাল ব্যবহার, আন্তরিকতা ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কোনো নারীকে ভালো লেগে যায় সহজেই। তারপর তার নাকটা একটু বাঁকা নাকি সে দেখতে একটু মোটা, তা নগণ্য হয়ে যায়। প্রথম পরিচয়ে অনেকেই কোনো নারীকে তার সঙ্গী হিসেবে পরখ করে না। তাই তার গায়ের রং বা চেহারার এতোটা গুরুত্ব থাকে না। ব্যবহারটাও তখন বড় ব্যাপার হয়ে যায়। যা কিছুটা মেলামেশা বা কথাবার্তা বলে বোঝা সম্ভব।

সুন্দর হাসি

সুইজারল্যান্ডের বার্ন বিশ্ববিদ্যালের মনোবিজ্ঞানী ইয়ানেক লোম্বায়ের বলেন, নারীর হাসি মুখের কদর পুরুষদের কাছে অনেক বেশি। শতকরা প্রায় ৯০ জন পুরুষই হাসি মুখের অপেক্ষায় থাকেন। এমনও দেখা গেছে, হাসি মুখের নারীটি কম সুন্দরী। তবুও তাকে পছন্দ করেন সবাই। আসলে মানুষ হাসলে অন্যের কাছে সে সহজে গ্রহণযোগ্যতা পায়। তাকে কিছুটা নরম ও বন্ধুত্বসুলভ বলে মনে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *