পীর হত্যা ইমানি দায়িত্ব : জেএমবি তরিকুলের স্বীকারোক্তি

Slider বাংলার আদালত

 

image_280484.atok

 

 

 

 

 

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান হত্যা মামলায় জেএমবি সদস্য তরিকুল ইসলাম মিঠু ম্যাজিস্ট্রেট্রের কাছে দোষস্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তারা পীরদের হত্যা করাকে ইমানি দায়িত্ব মনে করেন।

রোববার তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের কাছে জবানবন্দি দেন। দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ড শেষে তিনি এ জবানবন্দি দিলেন।

একই সঙ্গে রিমান্ডে থাকা অপর আসামি জেএমবি সদস্য মো. আলেক ব্যাপারীকেও এদিন আদালতে হাজিরা করা হয়। তবে তিনি স্বীকারোক্তি দেননি।

এর আগে গত ১৪ অক্টোবর টাঙ্গাইল থেকে তরিকুলকে ও রাজধানী ঢাকার মিরপুর থেকে আলেক ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর গত ১৫ অক্টোবর আদালত এদের ৩ দিন এবং গত ১৯ অক্টোবর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের দাবি, তরিকুল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) অন্যতম সংগঠক।
২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় তিনি পাঁচ বছর কারাভোগ করেন। খিজির খান হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন আটজন। যে গাড়িতে করে হত্যাকারীরা এসেছিলেন, সেই গাড়ির চালক ছিলেন আলেক ব্যাপারী।

হত্যাকারীরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। একদল তিনতলায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে দুটি ল্যাপটপ, দুটি ক্যামেরা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। আরেক দল দোতলায় এক হয়ে খিজির খানকে গলা কেটে হত্যা করে।

পুলিশ আরো দাবি করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল ও আলেক ব্যাপারী জানিয়েছেন, ধর্মীয় মতাদর্শের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তারা। তারা পীর হত্যা ইমানি দায়িত্ব বলে মনে করেন। পীরতন্ত্রকে তারা মনে করেন শিরক।

উল্লেখ্য, খিজির খানকে গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকার মধ্য বাড্ডায় জ-১০/১, নিজ বাসায় গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মধ্য বাড্ডার বাড়িটির তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন খিজির খান। এর দোতলায় রয়েছে রহমতিয়া খানকাহ শরিফ (ঢাকা শাখা)। খিজির খান এই খানকাহ শরিফের পীর ছিলেন। ওই ঘটনায় খিজির খানের ছোট ছেলে আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *