সিরাজগঞ্জের “চলনবিলে” সরিষার চাষাবাদ নিয়ে চিন্তিত কৃষকেরা

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি


মাসুদ রানা সরকার: দফায় দফায় বন্যা আর বৃষ্টির কারণে দেশের বৃহত্তম চলনবিলের বিভিন্ন স্থানে চাষাবাদের জমিতে পানি আটকে রয়েছে। এসব জমিতে চলতি মৌসুমে রবি সরিষার চাষাবাদ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। দ্রুত এই পানি নেমে না গেলে বিলের সিরাজগঞ্জ অংশেই প্রায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে।শস্য ভান্ডার চলনবিলের বিভিন্ন উপজেলায় বিপুল পরিমাণ জমিতে বন্যার পর পরই রবি সরিষার আবাদ করা হয়। বন্যায় পলি পড়ায় এখানকার জমিতে সরিষার বাম্পার ফলন হয়। দেশের সবচেয়ে বেশি সরিষার উৎপাদন হয় চলনবিলের সিরাজগঞ্জ জেলায়।আর শীর্ষ উপজেলা উল্লাপাড়া। শুধু সরিষাই নয়। এর ফুল থেকেও পোষা মৌমাছির মাধ্যমে শত শত টন সাদা সোনা খ্যাত মধু আহরণ করা হয়। সরিষা উৎপাদনে নীরব বিপ্লব ঘটেছে সিরাজগঞ্জ জেলার চাষিরা। অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের মধ্যেই চলনবিলে রবি সরিষার আবাদ শুরু করেন কৃষকরা। তবে এবার সেই চাষাবাদে ছন্দপতন ঘটেছে। এবছর দফায় দফায় বন্যা পানি ওঠা নামা করেছে।একই সাথে মুষলধারে বৃষ্টিও হয়েছে। ফলে শীতকালীন সবজিসহ সব ধরনের চাষাবাদে এবার অনেক সমস্যর মুখে পড়েছেন কৃষকরা। চলনবিলের সিরাজগঞ্জ অংশের সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর, বাঙ্গালা, সলঙ্গা, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলের অনেক জমিতে এখনও পানি আটকে আছে।কৃষি বিভাগে তথ্য মতে, এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের ১ লাখ ৪৬ হাজার ১০ হেক্টর জমি এখনও পানিতে তলিয়ে রয়েছে। আগামী ১৫দিনের মধ্যে জমি থেকে পানি নেমে না গেলে এখানে সরিষা আবাদ ব্যাহত হতে পারে।তবে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আ.জ.মু.আহসান শহিদ সরকার দাবি করেন, দেরিতে পানি নেমে গেলেও এসব জমিতে টরি-৭ জাতের সরিষার আবাদ করা যাবে।এ জাতের সরিষা ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে তোলা যায়। তিনি দাবি করেন, পর্যায়ক্রমে সব জমি আমরা চাষাবাদের আওতায় আনতে পারবো। গত মৌসুমে এ জেলায় সরিষা আবাদ হয়েছিল ৮৫ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে। এবছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯০ হাজার হেক্টর জিমিতে। অন্য রবিশস্য চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫৬ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *