কেবিনে ভর্তি খালেদা জিয়া, উদ্বেগ বাড়ছে বিএনপিতে

Slider রাজনীতি


সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। সোমবার (৮ জুলাই) ভোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে কেবিনে ভর্তি করানো হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোরে হঠাৎ করে ম্যাডামের শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে কেবিনে ভর্তি করানো হয়েছে।

এর আগে ২১ জুন মধ্যরাতে খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে রাজধানীর বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। ১০ দিনের চিকিৎসা শেষে গত ২ জুলাই তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।

গত ২৩ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। তার আগে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৩ জন চিকিৎসক।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এদিকে স্বল্প সময়ে ব্যবধানে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার বার-বার অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় বিএনপিতে উদ্বেগ বাড়ছে।

দলটির নেতারা বলছেন, হাসপাতালে থেকে খালেদা জিয়ার বাসায় ফেরার ১ সপ্তাহ এখনও পার হয়নি। তারমধ্যে আজ ভোরে আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে তিনি খুবই অসুস্থ। ফলে, তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু আমরা ম্যাডামের মুক্তির দাবিতে কার্যকর আন্দোলন গড়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারিনি। যার কারণে সরকারও তাকে উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে না।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, “বার-বার ম্যাডাম অসুস্থ হয়ে যাওয়া খুবই চিন্তার বিষয়। ২ জুলাই তিনি যখন বাসায় ফিরেন, তখন অসুস্থ থাকলে মনোবল শক্ত ছিল। এখন আবার তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার মানে তিনি খুব বেশি অসুস্থ।”

এ্যানী বলেন, “আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য কীভাবে তাকে সুস্থ করে আনতে পারি, সেটাই চেষ্টা করছি। আমরা বারবার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু অবৈধ সরকার অনুমতি দিচ্ছে না।”

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নতুন করে আবারও কর্মসূচি দেওয়া চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বিএনপিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *