রাণীশংকৈলে স্বর্ণের খোঁজে মাটি খুঁড়ছেন কয়েক হাজার মানুষ

Slider রংপুর

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় স্বর্ণের খোঁজে মাটি খুঁড়ছেন সহস্রাধিক মানুষ। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গভীর রাত থেকে বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার মানুষ কেউ কোদাল, কেউ বাসিলা, কেউ খুন্তি নিয়ে স্বর্ণের খোঁজে মাটি খনন করতে শুরু করে। ওই ইট ভাটায় ভাগ্য বদলের আশায় দিন-রাত চলছে যেন মাটি খনন প্রতিযোগিতা।

রাতে দূর থেকে টর্চের আলোয় আরবিবি ইট ভাটা দেখলে আলোকিত পাহাড় বলেই মনে হবে। রাতের আঁধারে টর্চের আলোতেই চলছে মাটি খননের কাজ। কেউ ভাগ্য বদলের আশায় আবার কেউ শখের বসে গভীর রাত থেকে খুঁড়ে চলছেন স্বর্ণ পাওয়ার আশায়।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় গত বেশ কিছু দিন ধরে স্বর্ণের খোঁজে খনন প্রতিযোগিতা চলছে। গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ বাড়ি হতে কোদাল-বসিলা নিয়ে ওই ভাটায় ভিড় করছেন দলে দলে। তাদের মধ্যে শ্রমিক শ্রেণির মানুষই বেশি। সোনা পেলে নিজেদের ভাগ্য বদল হবে এই আশায় কেউ বসে নেই। আশপাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকেও ছোটখাটো যানবাহন নিয়ে স্বর্ণের সন্ধানে ভাগ্য বদলের জন্য ছুটে এসেছেন নানান পেশার মানুষ। আবার নিরাশ হয়েও ফিরছেন অনেকেই।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে আরবিবি ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটাটির ঠিক পশ্চিম পাশে একটি মাটির স্তুপে বিভিন্ন শ্রেণি মানুষের জটলা। ছোট সাবল নিয়ে আস্তে আস্তে মাটি খনন করে বাছাই করছে বয়স্ক, যুবক, কিশোর-কিশোরীসহ বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ।

এ সময় কুলসুম নামে এক নারী বলেন, পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে এসে শুনেছি ইটভাটার জন্য আনা মাটিতে স্বর্ণের টুকরো পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে স্বর্ণের জিনিস পেয়েছে। তাই সকাল থেকেই মাটি খনন করছি। তবে এখন পর্যন্ত স্বর্ণের কিছু মেলেনি।

তার সঙ্গে ইশিতা নামে মালেকার নামের নাতনী এসেছে। সে মনোযোগ দিয়ে মাটি খনন করে বাছাই করছে। ইশিতা বলে, যদি স্বর্ণ পাই তাহল ওঠা বিক্রি করে আমি নতুন কাপড় কিনব।

স্থানীয়রা বলছেন, ওই ভাটার মাটির স্তুপের ভেতর থেকে কয়েকজন সোনা পেয়েছেন। কিন্তু কে সোনা পেয়েছে এ কথা কেউ স্বীকার করছেন না।

আরবিবি ইটভাটার ব্যবস্থাপক লিটন আলী বলেন, কাতিহার সামরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তুপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তুপ থেকে নাকি স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিন-রাত ওই মাটির স্তুপ খনন করে বাছাই শুরু করেছে। তবে কেউ স্বর্ণের কোনো টুকরো পেয়েছে এমন খবর তারা পায়নি।

রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি জেনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *