কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি


কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ।

তিনি বলেন, ‘ধানের দাম নির্ধারণের জন্য দুদিন পর আমাদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান সেদিকে খেয়াল রাখব। আমরা চাই কৃষকেরা যাতে ধান চাষে উৎসাহিত হন, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে।’

শুক্রবার সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার দেখার হাওরে বাহাদুরপুর গ্রামে জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আয়োজিত বোরো ধান কাটা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী আরেো বলেন, প্রকৃত কৃষকেরাই যেন সঠিক দামে ধান বিক্রি করতে পারেন, সেদিকে কঠোরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। ধানের দামে যেন মধ্যস্বত্বভোগী কেউ সুবিধা নিতে না পারেন। ধান বিক্রিতে যেন কোনো সিন্ডিকেট তৈরি না হয়, সেজন্য ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যানদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, হাওরের ফসলকে ঝুঁকিমুক্ত করতে বর্তমান সরকার বহুমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। পাকা ধান যাতে দ্রুত কৃষকের ঘরে তোলা যায়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের ধান কাটার যন্ত্র জন্য কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দিচ্ছেন।

হাওরে ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে তাই আগাম ও স্বল্পজীবনকালীন জাতের ধান চাষ করতে কৃষকদের পরামর্শ দেন কৃষিমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান, যেগুলোর উৎপাদন অনেক বেশি, সেগুলো চাষে এগিয়ে আসুন। বন্যা মোকাবেলা করে ফসল উৎপাদন যাতে চালিয়ে যেতে পারি সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ করেন।

এ সময় সুনামগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক জানান, এই মুহূর্তে সুনামগঞ্জে এক হাজারের বেশি কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের ৮৫৫ হারভেস্টার ও অন্য জেলা থেকে নিয়ে আসা ২০০ হারভেস্টার রয়েছে।

এছাড়া, এ বছর ব্রি২৮, ব্রি২৯ ধানের চাষ অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নান, সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদিক, সংসদ সদস্য রনজিত চন্দ্র সরকার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *