গাজীপুরে ঈদে যানবাহনে চাঁদাবাজি গাড়ি প্রতি এক হাজার টাকা

গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ ঢাকা নারী ও শিশু সারাদেশ

DSC07119
ষ্টাফ করেসপসডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস: ঈদকে সামনে রেখে গাজীপুর জেলায় পুলিশ ব্যাপক চাঁদাবাজী শুরু করেছে। খোদ জেলা শহরেই চলছে চাঁদাবাজীর উৎসব।

রোববার সন্ধ্যার পর গাজীপুর শহর ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেক পোষ্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাসী ও কাগজপত্র পরীক্ষা চলছে। প্রত্যেকটি চেক পোষ্টের সামনে গাড়ির লম্বা লাইন। বিশেষ করে নাম্বার বিহীন গাড়ির সংখ্যাই বেশী। প্রতিটি নাম্বার বিহীন মোটর সাইকেল এক হাজার থেকে ৩হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে মুক্তি নিচ্ছে। তবে সব গাড়িকে টাকা দিতে হচ্ছে না। কারণ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের ফোনেও মুক্তি মিলছে অবৈধ যানবাহনের।

গাজীপুর শহরের শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে একটি বাস। সাথেই একটি ট্রাক। বাসের কাগজপত্র পরীক্ষার নামে গাজীপুর টাউন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ(টিএসআই) শহিদুল্লাহ বাসের সামনে মোটর সাইকেলে বসে বাসের চালকের নিকট ২হাজার টাকা দাবি করছেন। অবশেষে দেড় হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি মিলেছে ওই বাসের।

গোপন সূত্র বলছে, গাজীপুর শহরে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা জানিয়েছেন, টিএসআই শহীদুল্লাহ প্রতিটি গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করেন। রাজবাড়ির সামনে বেবি টেক্সি ষ্ট্যান্ড থেকে তিনি প্রতি সপ্তাহে ২হাজার ৭’শ টাকা পান। বড় মসজিদের সামনের ষ্ট্যান্ড, জয়দেবপুর বাস ষ্ট্যান্ড, শিববাড়ি সহ শহরের সকল ষ্ট্যান্ড থেকে সপ্তাহিক নির্দিষ্ট হারে তিনি চাঁদা আদায় করেন।

এছাড়া গাজীপুর শহরের রাস্তার দুই দ্বারের ফুটপাত থেকে দৈনিক চাঁদা আদায় করেন ওই টিএসআই। উত্তরাধিকার সুত্রে শহরের টিএসআই এই চাঁদা পেয়ে থাকেন। সূত্র জানায়, টিএসআই শহীদুল্লাহর মাসিক চাঁদার পরিমান ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। ।

এগুলো ছাড়াও চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া চৌরাস্তা, বোর্ডবাজার, টঙ্গী ষ্টেশন রোড, চন্দ্রা মোড়, মাওনা চৌরাস্তা সহ জেলার সকল বাস ষ্ট্যান্ড ও টেম্পো ষ্ট্যান্ড থেকে চাঁদা আদায় করে পুলিশ। তবে মহাসড়কের চাঁদা তিন ভাগে বিভক্ত হয়। জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও শিল্প পুলিশ। শিল্প পুলিশ গাড়ি রিকুইজিশনের নামে বেপরোয়া ভাবে চাঁদা আদায় করছে। ঈদকে সামনে রেখে চাঁদার পরিমান বেড়ে গেছে।

চাঁদা আদায়কারী পুলিশ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অনেক খরচ হয়। সব কথা বলা যাবে না।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল বাতেন পিপিএম ইতোমধ্যে পুলিশের সকল চাঁদা বন্ধে কঠোর হুসিয়ারী উচ্চারণ করলেও খোদ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে যানবাহন থেকেই চাঁদা আদায় বন্ধ হচ্ছেনা।

ভূক্তভোগীদের দাবি, অবিলম্বে যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় বন্ধে উচ্চ পর্যায়ের পদক্ষেপ জরুরী।

———

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *