শ্রীপুরে আকস্মিক অর্ধশতাধিক পাখির মৃত্যু

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

গাজীপুর: গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের সিটপাড়া গ্রামে আকস্মিক অর্ধশতাধিক পাখির মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সিটপাড়া গ্রামে পাখি মারা যাওয়ার এ ঘটনা ঘটে।বরমী ইউনিয়নের সিটপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য হারুণ অর রশিদ খন্দকার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

ঢাকা বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন,কারখানার কোনো প্রভাবে পাখি মরছে কিনা তা দেখতে হবে।আমি খোঁজ নিচ্ছি।

দেখা গেছে,পাখিগুলোর মাঝে বেশির ভাগই ঘুঘু পাখি।এছাড়া শালিক ও খেচখেঁচিয়া(স্থানীয় নাম)সহ নানা জাতের পাখি রয়েছে।এ ঘটনায় এলাকাবাসী পাখি দেখতে সকাল থেকে ওই এলাকায় ভীড় জমিয়েছে।এই ঘটনার একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা গেছে।

সিটপাড়া গ্রামের আসাদ মিয়া জানান,আমি সকালে কারখানায় যাই।কিছুক্ষন পরে কারখানা থেকে চা নাস্তা খেতে বাইরে বের হয়ে আসি।তখন দেখি কয়েকটা শিশু ও মহিলারা মারা যাওয়া পাখিগুলো এনে এক জায়গায় স্তুপ করে রাখছে।পরে আমি পাখিগুলোর ছবি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছি।

এলাকাবাসী জানায়,এলাকায় গত কয়েকদিন কোনো প্রকার কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়নি।তাহলে পাখিগুলো কিভাবে মারা গেছে এটা সকলের প্রশ্ন।এলাকায় নানা শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কেও কোনো উত্তর দিতে পারেনি।

এক শিশু জানায়,আমি এইখান দিয়ে যাচ্ছিলাম।হঠাৎ দেখি উপর থেকে একটা পাখি আমার সামনে এসে পড়ছে।সাথে সাথেই গজারি গাছ থেকে আরো পড়েছে।গজারি গাছের পাশে আরেকটা গাছ থেকে পড়ছে।আম গাছ থেকে পড়ছে আরো ২টা।পাখিগুলো কুড়িয়ে এনে একটা জায়গায় রাখছি।কিছু পাখির মুখ দিয়ে পানি পড়ছে।

পথচারী সামাদ মিয়া জানান,পাখিগুলো কিটনাশক খেয়ে খেয়ে মরেছে কিনা তা জানতে হবে।হঠাৎ করে পাখিগুলো মইরা যাওয়ার কথা নয়।পাখিগুলো মরে যাওয়া দেখে কষ্ট লাগছে।

গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন সভাপতি ফেডরিক মুকুল বিশ্বাস বলেন,পাখি মারা যাওয়া বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবো।এটা বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানাতে হবে।

ইউপি সদস্য আরো জানান, সিটপাড়া গ্রামে গার্ডেনিয়া নামে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীরর পাশে পাখিগুলো মারা গেছে।আমি ওই এলাকায় একজন লোক পাঠাইছি।কেন পাখি মারা গেছে বিষয়টি আমার জানার দরকার।কি কারণে এমন কাজ হইছে আমি খোঁজ নিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *