টঙ্গী: চলমান প্রথম পর্বের ইজতেমার আয়োজক জুবায়ের পন্থীরা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, তারা কোন ব্যাক্তির অনুসারী নন। তারা জুবায়ের পন্থী নন। তারা শূরায়ে নেজামের অনুসারী। আর সাদ পন্থীরা মাওলানা সাদের অনুসারী। মাওলানা সাদ ইসলামের কিছু মৌলিক বিষয়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সাদ বিশ্ব আলেমদের থেকে বিচ্ছিন্ন একজন ব্যক্তি। তিনি বাংলাদেশে আসলে আলেমরা কি ভাবে নিবেন জানিনা।
আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় ইজতেমা ময়দানে স্থাপিত গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সমন্বয় কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন জুবায়ের পন্থী তিন মুরুব্বী।
তারা হলেন, ইজতেমার প্রধান সম্বয়কারী প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন, নীতিনির্ধারকদের মধ্যে মুফতি আমানুল হক, আবুল হাসনাত, ডা: আজগর আলী সাথে ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।
সম্মেলনে মুফতি আমানুল হক বলেন, আমরা জুবায়ের পন্থী না। আমরা শূরায়ে নেজাম। আমরা কোন ব্যাক্তির না আমরা শূরার লোক। মাওলানা সাদের আগমনের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য না করে বলেন, মাওলানা সাদ সাহেবের অনেক বক্তব্য আছে যা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। তার আগমনকে আলেম ওলামারা কি ভাবে নিবেন তা বলতে পারব না।
বিশ্ব ইজতেমার চলমান প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এমন সময় এই ধরণের সাংবাদিক সম্মেলন কেন! সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মুফতি আমানুল হক বলেন, সাদ সাহেব ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক যে সব কথা বলেছেন তার মধ্যে একটি হল প্যান্ট পড়ে নামাজ হয় না। আমরা বলি প্যান্ট পড়ে নামাজ হয়। সাদ সাহেব নিজেই কিতাব তৈরী করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, উনি ( সাদ) নিজের মত করে কথা বলেন। ইসলামের মত করে নন। তিনি বিশ্ব আলেমদের থেকে বিচ্ছিন্ন। তার সাথে আমাদের কোন সমঝোতার সুযোগ নেই।
এদিকে সাদ পন্থীদের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারী, শেষ হবে ১১ ফেব্রুয়ারী। ইতোমধ্যে সাদ পন্থীরা তাদের নেতা মাওলানা সাদকে দ্বিতীয় পর্বে আসতে দেয়ার দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন। আজকের সম্মেলন, মাওলানা সাদের বাংলাদেশে সম্ভাব্য আগমন ঠেকাতে করা হয়েছে বলে দাবী করছে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র।
প্রসঙ্গত: মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ পন্থীদের মধ্যে সাংঘর্ষিক অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্ব জুবায়ের পন্থী ও দ্বিতীয় পর্ব সাদ পন্থীরা আয়েজন করেন। মাওলানা সাদকে নিয়ে বিরোধ তৈরী হওয়ায় মাওলানা সাদকে কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে আসতে দিচ্ছে না বাংলাদেশ সরকার। তাই ইজতেমা এলেই সাদ পন্থীরা মাওলানা সাদকে আনার জন্য দাবী করে।