১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন নিয়ে বিপাকে কয়েক হাজার প্রার্থী

Slider শিক্ষা


শিক্ষক নিবন্ধন নিয়ে বয়সের শর্তে বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার প্রার্থী। তবে প্রার্থীদের অনুরোধে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম হয়ে যাবে তাদের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন জানানো হবে। মন্ত্রণালয়ের সবুজ সঙ্কেত পেলে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে এই প্রার্থীরা বয়সে ছাড় পাবেন। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একাধিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে। তবে করোনাভাইরাসসহ নানা কারণে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় অনেক প্রার্থীর বয়স শেষ হয়ে গেছে। আবার অনেকের বয়স শেষের দিকে। প্রার্থীদের এ সমস্যার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা হচ্ছে।

ওই সূত্র আরো জানায়, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করেছে কিংবা অতিক্রমের দ্বারপ্রান্তে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে তাদের বয়সে ছাড় দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হবে। মন্ত্রণালয় চাইলে প্রার্থীদের বয়সে ছাড় দেয়া হবে।

সূত্র জানায়, ১৭তম নিবন্ধনে যাদের বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করবে কিংবা করেছে তাদের বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বয়সে ছাড় দেয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের। মন্ত্রণালয় চাইলে প্রার্থীদের বয়সে ছাড় দিতে পারে।

সূত্রমতে, পিএসসি নিয়োগ সুপারিশের উদ্দেশ্যে একবারই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সে জন্য প্রার্থীদের বয়স বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় থেকে ধরা হয়। তবে এনটিআরসিএকে দু’টি ভাগে কাজ করতে হয়। প্রথমবার নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয়। পরবর্তীতে আবার গণবিজ্ঞপ্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয়। এ সমস্যা সমাধানে নতুন আইনে নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে নিয়োগ সুপারিশ পর্যন্ত একবারই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রার্থীদের বয়স নিয়ে আর জটিলতায় পড়তে হবে না।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাসুদুর রহমান বলেন, ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়স ছাড়ের বিষয়টি এনটিআরসিএর হাতে নেই। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের হাতে। আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করব। মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা দেবে সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *