পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠির ব্যাপারে যা বললেন জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র

Slider বাংলার মুখোমুখি


বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসঙ্ঘ।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের কার্যালয়ের প্রধান আর্লে কোর্টনে রাট্রেকে লেখা চিঠি প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, ‘আমি চিঠিটি দেখিনি এবং বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে আগেই বিস্তারিত যা বলেছি তা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে বলতে চাই।’

এর আগে নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘকে জানিয়েছিল, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর’, কিন্তু বিক্ষোভের নামে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও মানুষের জীবন পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা সহ্য করবেন না, যা বিরোধীরা প্রায়ই করে থাকে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল থেকে আমরা যে অযৌক্তিক, অন্যায্য ও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছি, তার প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করি- জাতিসঙ্ঘের সচিবালয়, সংস্থা ও কান্ট্রি অফিসসহ জাতিসঙ্ঘ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবিচল থাকতে সহায়তা করতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে।’

১৯ নভেম্বর চিঠিটি লেখা হয় এবং ২০ নভেম্বর জাতিসঙ্ঘে তা হস্তান্তর করে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।

এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসঙ্ঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না।’

এক প্রশ্নকর্তা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসঙ্ঘ এখনো পদক্ষেপ নেয়নি।’ তিনি এ বিষয়ে মুখপাত্রের কাছ থেকে মন্তব্য চান।

উত্তরে মুখপাত্র বলেন, ‘প্রথমত, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং ওইসব ঐতিহাসিক ঘটনার সময় যারা কষ্ট ভোগ করেছেন তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে অনেক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে আমি মন্তব্য করব না। দ্বিতীয়ত, আমরা এখানে বারবার বলেছি, কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃত দেয়া মহাসচিবের কাজ নয়। বিষয়টি উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে।’

সূত্র : ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *