কোয়েল পালন করে নন্দীগ্রামের অনার্স পড়–য়া নাঈমের স্বপ্ন পূরণ

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃ জীবনে আশা আর শখ লালিত করে কোয়েল পাখি পালন করতে গিয়ে হয়েছেন স্বাবলম্বী।প্রতি মাসে গুনছে অর্ধ লক্ষ টাকা। কোয়েল পাখির খামার থেকে প্রতিদিন আসছে ৬থেকে ৭শ ডিম সব মিলিয়ে প্রতিমাসে অর্ধ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে আবু নাঈম। তার সফলতা দেখে কোয়েল পাখি পালনে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার যুবকরা। বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কলেজ পাড়ার আবুল কালামের অনার্স পড়ুয়া ছেলে আবু নাঈম ২০২৩ সালে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিংয়ে অনার্স শেষ করেছে। ২০২২ সালে বিভিন্ন জাতের কবুতর পালন করেন নাঈম। কবুতর পালনে নাঈমের সফলতা না আসলেও জাপানি জাতের কোয়েল পাখি পালন করে মাসে তিনি এখন অর্ধ লক্ষ টাকারও বেশি গুনছেন, পরিবারেও দিচ্ছেন তার ইনকামের টাকা। আবু নাঈমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিংয়ে অর্নাস শেষ করেছি প্রথম অবস্থায় শখ করে কবুতর পালন করেছিলাম কিন্তু কবুতরে তেমন একটা সাফল্য না পেয়ে বিগত দুইমাস আগে ধারদেনা করে জাপানি জাতের ১০০০ পিচ কোয়েল পাখি ২৪০০০/- টাকায় ক্রয় করেছি। কোয়েল পালনের জন্য সেড করা, পাখি ক্রয়, খাবার, ওষুধ, বিদ্যুৎ বিলসহ এপ্রর্যন্ত আমার দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিদিন ৭শ খেকে ৮শ করে ডিম পাচ্ছি। আর কিছুদিন পর ৯০০শত থেকে ১০০০ পিচ ডিম পাওয়া যাবে পাখি গুলো যদি সুস্থ থাকে ৬মাস পর সাড়ে ৪লক্ষ টাকার ডিম বিক্রয় করতে পারবো বলে আশা করছি। নাঈম আরো বলেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ থেকে কোয়েল পালনের জন্য যদি সরকারি আর্থিক সহযোগীতা পেতাম তাহলে আরো বড় আকারে সেড করে কোয়েল পালন করা যেত। এবিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কল্পনা রাণী বলেন, নাঈমের কোয়েল পালন করার কথা শুনেছি নাঈম যদি আমাদের প্রাণীসম্পদ অফিসে এসে যোগাযোগ করে তাহলে প্রাণীসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে কোয়েল পাখি পালনের জন্য তাকে সকল ধরনের সহযোগীতা প্রদান করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *