হামাসের হামলা : ইসরাইলে নিহতের সংখ্যা কমে ১,২০০

Slider সারাবিশ্ব


গত ৭ অক্টোবর গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলায় ইসরাইলে১,৪০০ নয়, বরং ১,২০০ লোক নিহত হয়েছে। শুক্রবার তারা আগের সংখ্যাটি পরিবর্তন করে। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত বলেন, ইসরাইল নিহত সকলের পরিচয় নির্ণয় করার কাজ করে যাচ্ছে।

নিহতের সংখ্যা কমার কোনো ব্যাখ্যা হাইয়াত দেননি। ওই দিনের হামলার সময় ইসরাইলের পাল্টা জবাবে প্রায় ১,৫০০ হামাস সদস্য নিহত হয়েছে বলে ইসরাইলি পক্ষ দাবি করছে। ওই দিন গাজা থেকে কয়েক হাজার লোক হামলায় অংশ নিয়েছিল। তারা ২৪৫ জনের মতো লোককে গাজায় নিয়ে যায়।

হামলার শিকার ব্যক্তিদের রামলের মিলিটারি রাব্বানিয়াতের প্রধান ঘাঁটিতে রাখা হয়েছে। সেখানেই মৃতদেহগুলো ধীরে ধীরে শনাক্ত করা হচ্ছে নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

জানা যাচ্ছে, ওই দিনের হামলায় ৩১৮ জন ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছিল। পুলিশ আরো ৫৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। আর বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে প্রায় ৮০০।

ওই হামলার পর গাজায় ইসরাইল বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে। গাজায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান, গাজা দখলের কোনো পরিকল্পনা নেই : নেতানিয়াহু
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার গাজায় যুদ্ধবিরতি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, সামরিক বাহিনী ‘অসাধারণভাবে ভালো’ পারফর্ম করছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে ইসরাইল ফিলিস্তিনি ভূখন্ড পুনর্দখল করার কোন পরিকল্পনা তাদের নেই।
সামরিক আক্রমণের জন্য কোন ‘সময়সূচী’ ছিল না এ কথা উল্লেখ করে তিনি ফক্স নিউজকে বলেন, ‘হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি মানে আত্মসমর্পণ।’

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি মনে করি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ব্যতিক্রমীভাবে ভালো পারফর্ম করছে।’
তিনি বলেন, ‘যতই সময় লাগে, আমরা এটি করব।’
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিশোধমূলক বিমান হামলা এবং স্থল আক্রমণে গাজায় ১০,৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং তাদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে গাজায় থাকার কোনো পরিকল্পনা ইসরাইলের নেই।
‘আমরা গাজা শাসন করতে চাই না। আমরা এটি দখল করতে চাই না, তবে আমরা এটি এবং আমাদের একটি ভালো ভবিষ্যত দিতে চাই।’

এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসরাইল ‘কাউকে স্থানচ্যুত করতে চায় না।’
গাজার ভবিষ্যতের জন্য তার পরিকল্পনার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেছিলেন, যে দরিদ্র এবং অবরুদ্ধ অঞ্চলটিকে অবশ্যই ‘অসামরিককরণ, উগ্রবাদমুক্তকরণ এবং পুননির্মাণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি সরকার খুঁজে বের করতে হবে, একটি বেসামরিক সরকার যা সেখানে থাকবে।’ তবে কে এই ধরনের সরকার গঠন করতে পারে তার বিশদ বিবরণ দেননি।

নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলি বাহিনীকে গাজায় পুনরায় প্রবেশ করতে এবং ‘হত্যাকারীদের হত্যা’ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
‘এটাই হামাসের মতো সত্তার পুনরুত্থান রোধ করবে।’

সৌদি আরবের সাথে ইসরাইল একটি শান্তিচুক্তির কাছাকাছি চলে আসার সাথে সাথে ৭ অক্টোবরের হামলা এবং পরবর্তী সংঘাত এসেছিল। তথাকথিত আব্রাহাম চুক্তির উপর ভিত্তি করে যা বেশ কয়েকটি আরব দেশের সাথে সম্পর্ককে স্বাভাবিক করেছে।

নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেন, ছিলেন যে সংঘাত কূটনৈতিক গতিকে বাতিল করবে না এবং ইসরাইল হামাসকে ধ্বংস করার পরে আবার আলোচনা শুরু করার জন্য শর্ত ‘পাকা’ হবে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, আল জাজিরা, এএফপি ও অন্যান্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *