দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য সারা দেশে আগামী দু’দিন ইন্টারনেট ধীরগতির হতে পারে। তবে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল চালু থাকায় এর প্রভাব খুব একটা পড়বে না বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া ব্যাকআপ হিসেবে চালু থাকা দেশের ৬টি আইটিসির (ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবল) ফলে দেশবাসী ইন্টারনেট ব্যবহারে খুব একটা সমস্যায় পড়বেন না।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৪ সিস্টেমের আপগ্রেডেশন কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। এই আপগ্রেডেশন কার্যক্রমের জন্য ৩০ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টা থেকে পরদিন (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘণ্টা এবং আগামী ১ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টা থেকে পরদিন (২ নভেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘণ্টা সি-মি-উই-৪ ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো আংশিক বন্ধ থাকবে। তবে কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন সি-মি-উই-৫ ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। আপগ্রেডেশন কার্যক্রমের কারণে উল্লিখিত সময়ে ইন্টারনেট গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন, বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, আপগ্রেডেশন কাজ শেষ হলে সি-মি-উই-৪ সাবমেরিন ক্যাবলে বিএসসিপিএলসি’র ব্যান্ডউইডথ সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
এদিকে রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে খাজা টাওয়ারের দুটি ডাটা সেন্টার ও ৯-১০ আইআইজি প্রতিষ্ঠান, আইসিএক্স এক্সচেঞ্জ আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশের ইন্টারনেটে ধীরগতি ভর করেছে। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও ধীরগতি রয়েছে। মোবাইলের ভয়েস কল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছে। এই অবস্থার মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবলের উন্নয়ন কাজ কেমন প্রভাব ফেলতে পারে— সেটাই এখন খাত সংশ্লিষ্টদের শঙ্কা।